নাট্য সম্পর্কে এই চুড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়েও অশোকনগর নাট্যমুখ দুটি নাট্য তৈরি করে ফেলল এ বছর। দুটিরই কুশীলব সংখ্যা প্রায় পঁচিশ। এতে খানিক আত্মশ্লাঘা অনুভব করলেও আত্মতৃপ্তির বালাই নেই কোনো। আত্মতৃপ্তি মানুষকে অন্ধ করে। নিজের বিশ্বাসকে অহংকারে পরিণত করে তাই সন্তর্পনে নানান কাজের মধ্যে দিয়েই বিশ্রামের ফিকির খুঁজি। অমল আলো প্রেক্ষাগৃহকে প্রাত্যহিক বাঁচিয়ে রাখার জন্য মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকতে হয়, এইসব আঞ্চলিক নাট্যক্ষেত্রকে অক্সিজেন জুগিয়ে যাবার জন্য নিজের আয়ুর লোভ ক্রমাগত ছেড়ে দিতে হয়।
তারই মধ্যে দলীয় কাজকর্মের নানান ঘটনায় ভেতরে ক্রমাগত হেমন্তকাল স্থায়ী হয়। একটি অভিনয়ের আয়োজনের পরই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে চোখ কচলে চেয়ে থাকতে হয়, কখন কে জানাবেন পারবেন না। অথচ এই কোভিডকালে একটি অভিনয়ের আয়োজন করা যে কতো দুরূহ কাজ তা যারা আয়োজনের জন্য ছুটে বেড়ান, তদ্বির করেন তারাই জানেন। দায়িত্ব নেবার লোক ক্রমে কমে আসছে পৃথিবীতে। সবাই স্বাধীন। সবাই ফ্রিল্যান্সার। সবাই সব জানে। সবাই ব্যস্ত।
এই ব্যস্ত জীবনে কি আদৌ থিয়েটার নামক সাধনার শিল্প চলে? তারমধ্যে যারা এতো কিছু ছড়িয়ে বসেন, তারা তো আরো অসহায় হয়ে পড়েন। পাথর তোলার ধৈর্য তো দূর অস্ত! গাড়িতে ড্রাইভার দিয়ে পাথর তুলে দিলেও আধুনিক সিসিফাসরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন কীনা সন্দেহ হয়।
এইসব সন্দেহের মধ্যে, নানান চোরা গুপ্তঘাতের টের পাওয়া প্রস্তুতির মধ্যেই ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে জয় পেলেন আন্দোলনরত কৃষকরা। সত্যি এ এক স্বপ্নের মতো। আজকের দিনেও আন্দোলন শব্দটার যথার্থতা প্রমাণ করে দিলেন তারা।
এইটুকু শিশিরভেজা সকালকে নিয়েই সিসিফাস হয়ে থাকার নিবিড় চেষ্টায় থাকি। বাকিরা যদি এই দেখে একটু এগিয়ে আসে। এইটুকুই আশা।
“লেখক জানালো – ‘আমাদের পথ আছে, আমরা হাঁটবো’… কেনোনা ইন্দ্রজিৎ ও লেখকের জানা হয়েগেছে -‘আমরাও অভিশপ্ত সিসিপাশের প্রেতাত্মা।’ অস্তিত্বএর এই সংকটময় পরিণতি মেনে নিয়ে লেখক শুধু চলাটাই শিরোধার্য করেছেন”
অনেক ধন্যবাদ। ছড়িয়ে দিন। পড়ুন।