অশোকনগর পত্তন থেকে আজকের সংস্কৃতি চর্চা – পর্ব – ৩ – অসীম দাস

ভারতবর্ষের প্রথম উদ্বাস্তু উপনিবেশ নগরী হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ এপ্রিল ১৯৪৯ সালে কল্যাণগড়কে ঘোষণা করে। উত্তর – পূর্বে অবস্থিত রয়্যাল এয়ার ফোর্স স্টেশনের নব নির্মাণ এই হাবরা রুরাল কলোনি যা পরে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় কল্যাণগড়। ১৯৪৯ সালেই এই অঞ্চলে প্রথম কল্যাণগড় বিদ্যামন্দির ও কল্যাণগড় বাজার গড়ে ওঠে। আর দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল হাবরা আরবান কলোনি পরে সকলে স্থির করে এত বড় নামের থেকে ছোট কোনো নাম রাখা যায় কিনা তা পূর্বেই আলোচনা করেছি যে একটি মিটিং ডাকা হয়েছিল। প্রথমে ঠিক হয় নাম হবে নয়ানগর, পরে প্রশাসনিক অসুবিধার কারণে সমগ্র অঞ্চলটির আরও তিনটি নাম নির্বাচিত হয় । নয়াগড়, প্রতাপগড় ও অশোকনগর।

অশোকনগর- কল্যাণগড়ের পাশাপাশি অঞ্চলে তখন সবে সাহিত্য সংস্কৃতিচর্চার বিস্তার লাভ করেছে। একচেটিয়া সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে সে সময়ের ক্লাব সংগঠন আর আজকের এই সময়ের ক্লাব সংগঠনে ভাবনার বিস্তর ফারাক। তৈরি অর্থনীতির কাঠামোতে দাঁড়িয়েও আজ অশোকনগরের শিল্প সংস্কৃতিতে এসেছে দৈনতা, ভাবনার আদান-প্রদানের অভাব।

জানিনা কোনটা বড় — উদ্বাস্তু না বেকারত্ব। আজ আর ‘উদয়াচল’ নেই, নেই ‘ঐক্যতান’ নাট্য সংস্থা, নেই অশোকনগর সেন্ট্রাল কমিটি বা অশোকনগর সাংস্কৃতিক সংস্থার ব্যানারে (১৯৫৮) নির্মিত রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকিতে (১৯৬১) অভিনীত ‘রক্তকরবী’-র নির্দেশক প্রতাপ (দুলু) চন্দ। ‘রক্তরবির সব পেয়েছির আসর’- এ ছিন্নমূল উদ্বাস্তু পরিবারের শিশুদের নিয়ে শিশু কিশোর নাট্যচর্চার প্রচেষ্টা চলেছিল বহুদিন।

কমিউনিস্ট পার্টির ভাঙ্গন পর্বে (১৯৬৪) নজরে এলো সাংস্কৃতিক রঙ ও রূপ। অন্তর্দ্বন্দ্ব, বিশৃঙ্খলার ছায়া এসে পড়ল সাংস্কৃতিক কর্মীদের মনে। স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষ পার্টির নাম ভাঙিয়ে আখের গুছিয়ে নিলো। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ বামপন্থীদের আন্দোলন আরো জোরদার হলো। দিকে দিকে মাথা চাড়া দিয়ে উঠল গণ সংগঠন। বামপন্থী আদর্শকে উজ্জীবিত করতে ময়দানে নেমে পড়ল উদ্বাস্তুরা। সেদিন ৯০ শতাংশ পূর্ববঙ্গীয়রাই ১৯৭৭তে প্রতিষ্ঠা করে বামপন্থীদের সরকারের। মেহনতি মানুষের সরকার। জনগণের সরকার। গোটা অশোকনগর কল্যাণগড় জুড়ে কিভাবে রাজনীতির বিস্তার পেল, কবে মানুষের মতামত প্রয়োগের স্বাধীনতা পেল, কে প্রথম মনোনীত চেয়ারম্যান হলেন অন্য কোনো সংখ্যায় আলোচনা করবো।

ধীরে ধীরে গণনাট্য অবলুপ্ত হল। পার্টির আদর্শে পুষ্ট কর্মীরা পেল স্থায়ীত্ব (পেশায়)। নবনাট্য আন্দোলনের ঢঙে প্রতিষ্ঠিত হল ‘গ্রুপ থিয়েটার’। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বেঁচে থাকার লড়াইএ সাহিত্যে, চলচ্চিত্রে নাট্যে এলো বৈচিত্র্য। সত্তর দশকের বহু কবি সাহিত্যিক নাট্যকার নাট্যকর্মী চিত্রকর আজও অশোকনগরের ঐতিহ্য, অশোকনগরের অহংকার। বহু পত্র পত্রিকা অশোকনগরের সুনাম উজ্জ্বল করেছে। বহু ব্যক্তিত্ব যাঁদের নাম স্বর্ণাক্ষরে চিরদিন বেঁচে থাকবেন উদ্বাস্তুবাসীর হৃদয়ে — অবশ্য প্রণম্য সুশীল সেন, সাধন সেন, উমাপদ মিত্র, ননী কর, অবনী চন্দ রায়, সত্যব্রত মুখার্জী, নিশিকান্ত সেন, বঙ্কিম রায়চৌধুরি, সমরেন্দ্র ঘোষ,করুণা মজুমদার প্রমুখ।

অশোকনগর নিয়ে করুণা মজুমদারের ভাবনা এবং প্রসার বেশ উল্লেখযোগ্য। আজকের অশোকনগর রোড স্টেশন কিভাবে গড়ে উঠল। তা নিয়েই কথা বলবো। কিভাবে পত্তন হলো মফস্বলের এক ব্যস্ত রেল জনপদের কথা। এই স্টেশন গড়ে ওঠার নেপথ্যকার, লড়াইয়ের পুরোধা হিসেবে নাম পাই করুণা মজুমদারের।

ব্যবসার কাজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত যাবার জন্য রেল লাইনের ভাবনা প্রথম মাথায় আসে ইংরেজের। পশ্চিমবঙ্গে বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি ১৮৮২ সালে দমদম টু বতর্মান বাংলাদেশের খুলনা শহর পর্যন্ত রেলের লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। এবং তা দু- চার বছরের মধ্যে দ্রুত সম্প্রসারণ হয়ে যায়।
দেশ ভাগ হবার পর এই লাইনের অনেকটা অংশ বাংলাদেশের সীমানায় রয়ে গেছে। এই রেলপথের ভারতীয় অংশের শিয়ালদহ এবং বনগাঁ স্টেশনের মধ্যে যাত্রী রেল পরিষেবা চালু রয়েছে। শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট পর্যন্ত পূর্ববাংলা রেলওয়ে প্রধান লাইনটি ১৮৬২ সালে খোলা হয় এবং দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় প্রসারিত হয়। এরপর শিয়ালদহ বনগাঁ রেলপথকে শিয়ালদহ রানাঘাট রেলপথের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে ১৮৮২-৮৪ সালে বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি রাণাঘাট বনগাঁ রেলপথ নির্মাণ করে।

ততদিনে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে বঙ্গভঙ্গ হয়ে হয়ে গেছে। উত্তাল সারা বাংলা।রাখী হাতে রবীন্দ্রনাথ পথে নেমে পড়েছেন। সেদিন দেশভাগের নামে হিন্দু মুসলমান বিভাজন আটকানো যায়নি।

শিয়ালদহ থেকে বনগাঁ পূর্ব রেলওয়ে শাখায় ১৯০৬ সালে প্রথম কয়লা ইঞ্জিন ট্রেন চালু হয়। ১৯৬৪ সালের আগে অবধি ডিজেল ট্রেন চলত এই রেলপথ দিয়ে। ১৯৭২ সাল থেকে ইলেকট্রিক লাইন চালু হয়। তখন বারাসাত থেকে বনগাঁ সিঙ্গেল লাইন। অনেক পরে পরে ট্রেন আসা যাওয়া করতো। একরাশ ধোঁয়া উড়িয়ে গুমার পর হাবরা স্টেশনে গিয়ে ট্রেন দাঁড়াত। তখন বনগাঁ পেসেঞ্জার ছাড়া আর কিছু ছিল না। অশোকনগরে যারা তখন রুটি রুজির জন্য কলকাতা বা তার বাইরে কাজে যেতেন, সে চাকরিসূত্রে হোক আর জোগাড়ে কাজ হোক তাদের হাবরায় নেমে পায়ে হেঁটে, সাইকেলে অথবা পায়ে টানা সাইকেল রিকশায় ফিরতে হতো। গাড়ি বলতে শুধু যারা ধনী ছিলেন তাদের কারো কারো ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করতো। সদ্য সুরকি আর ইঁটের নির্মিত রাস্তা। নিম্ন মধ্যবিত্তের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় তখন। সাইকেল কেনার টাকা কোথায়? তাই পায়ে হেঁটেই সংগ্রাম চলেছে মানুষের। এতটা হেঁটে যাতায়াতের অসুবিধার কারণে অনেকেই সপ্তাহে একদিন বা মাসে দুদিন বাড়িতে আসতেন। সারা সপ্তাহের বাজার-হাট করে পরিবারের মুখে হাসি দেখতে হেঁটে হেঁটেই আসা যাওয়া চলতো। বাড়ির পুরুষদের তখন লড়াই ছিল অকল্পনীয়।

গুমা এবং হাবরায় সরকারি অফিস গড়ে উঠেছে , গুমায় বিএল আর অফিস, বিডিও অফিস, হাবরা পঞ্চায়েত ১,২ ব্লক। ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অর্থাৎ বারাসাত থেকে বনগাঁ যাবার যশোহর রোডের উপর মানিকনগর মানিকতলা আর আশ্রাফাবাদ কলোনির অবস্থান। এই অঞ্চলগুলির কাছেই আমাদের ভাষায় তিন নম্বর গেট, তা সেই গেট পড়তে দেরি হলে তখন গেটে ঢোকার মুখে ট্রেন দাঁড়িয়ে যেতো বা স্লো হয়ে যেতো কখনো কখনো। অশোকনগরের লোকেরা যারা থাকতেন তারা লাফ দিয়ে নেমে পরতেন।অনেকটা হাঁটার থেকে রক্ষা পেতে কিছুটা হাঁটার অভ্যাস গড়ে উঠল অনেকেরই। বর্তমান যেখানে অশোকনগর এক নম্বর প্লাটফর্ম সেখানে ছাইয়ের ঢিবির মতো ছোট বড় টিলা ছিল তখন। অফিস ছুটির পর বা কাজ থেকে ফেরার সময় ৩ নম্বর গেট আসার আগেই কয়লার ইঞ্জিন ট্রেনের এমারজেন্সি শেকল টেনে ট্রেন থামিয়ে হুড়োহুড়ি করে নেমে পরতেন প্রচুর মানুষ। সারাদিনের ক্লান্তিমাখা চোখে মুখে লেপে উদ্বাস্তু মানুষদের রোজকার এই চেন টেনে নেমে পরার ফলে ওই স্থানেই একটি অস্থায়ী পুলিশ ব্যারাক বসল। শুধুমাত্র যারা গেটের আগে ট্রেন থামিয়ে হুড়মুড় করে নেমে পরতেন তাদের ধরতে। বেশির ভাগ ঘোষেরা দুধ বিক্রি করে কলকাতা থেকে ফিরত তারা এই কাজটা করত প্রথমে। তাদের দেখে ভদ্রলোকেদের মনে হয়েছে তারাও চেন টানার পক্ষে সায় দিয়ে চেন টেনে অশোকনগর ঢোকার আগে নেমে যাবেন। রেল পুলিশও তৈরি হয়ে থাকত, ট্রেন আসার অপেক্ষা করত। লাফিয়ে নামার সঙ্গে সঙ্গেই হইহই করে লাঠি উচিয়ে ধেঁয়ে আসত। অনেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন সেইসময়ে জি আর পি পুলিশের হাতে। হেনস্থাও হতে হয়েছে শিয়ালদহ লকারে বসে। হাবরা থেকে হেঁটে চৌরঙ্গী, মানিকতলা, নিউ মার্কেট কিংবা বাইগাছির স্থানীয় মানুষ যাঁদের ভোর থাকতে উঠে টিফিন কৌটোয় দুটো জল দেওয়া ভাত পেঁয়াজ কাঁচা লঙ্কা সহ নিয়ে রেল লাইন বরাবর গুমা অথবা হাবরা স্টেশনে হেঁটে এসে, টিকিট কেটে, কর্মস্থানে নিত্যদিন যাতায়াত কষ্টের হয়ে গেলেও রেল গেটের কাছে লাফিয়ে নেমে পড়া তাঁদের কাছে অনেক সুখের মনে হয়েছিল । পুলিশের লাঠির আঘাত তোয়াক্কা না করে দিনের পর এলাকার মেহনতি সংগ্রামী মানুষ জনরোষ গড়ে তুললেন। প্রতিনিধিত্ব করলেন করুণা মজুমদার। স্থায়ী ব্যবস্থার জন্য এলাকায় স্টেশনের দাবিতে শুরু হলো গণডেপুটেশন। তৈরি হলো অশোকনগর যাত্রী সমিতি।

চিঠি চাপাটি চলতে থাকলো। রেল দপ্তরে দিনের পর হত্যে দিয়ে পরে থেকে, অবরোধ করে, টায়ার পুড়িয়ে সরকারের নজরে আসার চেষ্টা চলল। স্টেশনের দাবিতে বিক্ষোভ, অশান্তি তখন নিত্যদিনের সঙ্গী। নজরে এলো পূর্ব রেলওয়ের তৎকালীন অধিকর্তার।
ক্রমশ জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে উদবাস্তু নগরীতে। কম পরসায় পাওয়া যাচ্ছে জমি, বাড়ি। ঘটি বাটি সোনা দানা বেঁচে যেভাবেই হোক মাথা গোঁজার ঠাঁই জোগাড় করে নিলেন ওপারের লোকজন এপারে এসে। আর্বান কলোনিতে ওপারের গৃহহীন মানুষগুলোর চাপে যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে শুনে ও দেখো সরকার নড়েচড়ে বসলো। চাপ বাড়ছে ডখন হাবরা স্টেশনেও। জনসংখ্যা ও আয়তনে হাবরার চেয়ে অশোকনগর এলাকা অনেক বড়। ১৯৫৩ সালে রেল দপ্তর বুঝতে পারলো যে হাবরা ও গুমার মাঝখানে একটি স্টেশনের প্রয়োজন আছে। ওই সালেই তরতাজা সংগ্রামী যুবক করুণা মজুমদারকে সম্পাদক করে গঠন হলো স্টেশন ডিমান্ড কমিটি। দিল্লি থেকে পূর্ব রেলওয়ে শাখার অধিকর্তা সেই জায়গা প্রদর্শন করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন, একটি রেল স্টেশন করতে করবে তারজন্য জায়গা দেখা শুরু হলো।বর্তমান যে অশোকনগর স্টেশন সেখান থেমে আরো দক্ষিণ দিক বরাবর শিয়ালদহর দিকে হেঁটে গেলে আমরা যাকে তিন নম্বর গেট বলে থাকি, রেলের ভাষায় ছাব্বিশ নম্বর গেট বলে। যেখানে হাতের দ্বারা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গেট ফেলা এবং সিগনাল লাল থেকে হলুদ করা হতো। অবশেষে দিল্লি থেকে গ্রীন সিগনাল এলো। নাম নিয়ে শুরু হলো সোরগোল। অশোকনগর নামে ভারতবর্ষের অন্যত্র স্টেশন আছে। যেমন মধ্যপ্রদেশের ভোপালে অশোকনগর নামে স্টেশন অনেক আগেই তৈরি হয়েছে। যার কোড হলো ASHN. স্থির হলো নাম হবে অশোকনগর রোড রেলওয়ে স্টেশন, পরে অশোকনগর রোড। কোড ASKR.

মানিকনগরের স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বিজয়রঞ্জন দাস সম্পূর্ণ ভাবে লেগে পড়ে জমি কেনা-বেচার কাজে। সেই মতো মাটি ও অন্যান্য সরঞ্জাম ফেলার কাজ শুরু হলো। স্টেশন থেকে যশোহর রোডে পৌঁছনোর জন্য কুড়ি ফুট চওড়া রাস্তার জমিও কেনা হয়েছে। সেই মতো রাস্তার কাজও শুরু হয়েছিল। বাঁধ সাধলো এলাকার অন্যান্য স্থানীয় মানুষ আর ডিমান্ড কমিটি। কাজ বন্ধ করে দিল আন্দোলন করে। তাদের দাবি স্টেশন হলে শান্তি বিনষ্ট হবে এবং মেইন রাস্তা থেকেও অনেকটা ঘুরপথও। সেভাবেই সেই জায়গায় আজও সমাধির মতো মাটির পাহাড় হয়ে পড়ে আছে ভগ্ন অঞ্চল ।
শেষমেষ করুণা মজুমদারের আপ্রাণ চেষ্টায় বতর্মানে যেখানে স্টেশন এখন আছে সেখানে শুধুমাত্র প্রথমে একটি প্লাটফর্ম সহ টিকিট ঘর তৈরি হয়। ১৯৫৯ সালে স্টেশনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় রেল দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন শাহনওয়াজ খান। দূর্ভাগ্য বাধ সাধলো, সেই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে করুণা মজুমদারের থাকা হলো না। তার আগেই ১৫ নভেম্বর ১৯৫৭ সালে কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে কঠিন অসুখে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। করুণা মজুমদারের স্মৃতি রক্ষার্থে তাঁকে মনে রাখতে বিল্ডিং মোড় থেকে গোলবাজার দক্ষিণ গেট অবধি রাস্তার নামকরণ করা হলো করুণা মজুমদার সরণি। আজ সেই নাম অনেকেরই স্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে।

চলবে…

2 thoughts on “অশোকনগর পত্তন থেকে আজকের সংস্কৃতি চর্চা – পর্ব – ৩ – অসীম দাস

  1. ভালো কাজ হচ্ছে এটা।শুধু নাট্য নয়।উঠে আসছে একটা আস্ত সময়।হিরন্ময় ইতিহাস।

  2. Good আমি আপনাদের এখানে নাটোক সিখতে চাই

Comments are closed.