শিশুদের ছৌ-মুখোশের কর্মশালা ইচ্ছাপুর আলেয়া ও শ্যামনগর নাট্যবিতান-এর যৌথ উদ্যোগে গরমের ছুটির দুটো দিন ৫ ও ৬ জুন ২০২২ শনিবার ও রবিবার ৪৫ জন স্কুল পড়ুয়া ও ৪ জন শিক্ষকের অংশগ্রহণে শ্যামনগর কাউগাছি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হল ছৌ-মুখোশ তৈরির কর্মশালা। উদ্বোধনের প্রাক্মুহূর্তে পুরুলিয়ার চড়িদা গ্রামের মুখোশ শিল্পী তারকনাথ সূত্রধর ও মৌসুমি সূত্রধরকে ফুল-মিষ্টি-উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানান দুটি নাট্যদলেরই শিশু-কিশোর বিভাগের প্রশিক্ষক দীপক মিত্র।
একেবারে কাদা-মাটিকে কীভাবে ধাপে ধাপে ছাঁচ সহ এবং ছাঁচ ছাড়া প্রথমে মুখের আদলে এনে সামান্য শুকিয়ে তার উপর পুরনো বইয়ের কাগজ, নরম সুতির কাপড়, ময়দার আটা, ছাই বা চকের গুড়ো দিয়ে ছোটোদের হাতে ধরে মুখোশ তৈরির কৌশল শেখালেন শিল্পীরা। তারপর সেই মুখোশে নানা স্তরে রঙ লাগিয়ে চোখ-মুখ-ভুরু তৈরি করতে লাগল শিশু-কিশোরের দল। একদলা মাটি ধীরে ধীরে যেভাবে মুখের আদল নিল তাতে আহ্লাদে আটখানা শিশুরা। এরপর শুরু হল গয়না পরাবার পালা। দু-দিনই সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রমেও শিশুকিশোরদের কোনও উৎসাহের খামতি নেই। তারা সে মুখোশগুলো তৈরি করল দু-দিন ধরে সেগুলো তাদেরই দিয়ে দেওয়া হল। এতে আরও খুশি ছোটোরা সঙ্গে উপরি পাওনা একটি শংসাপত্র।
প্রখ্যাত আলোক শিল্পী জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়, রূপসজ্জা শিল্পী অলোক দেবনাথ, বিজ্ঞান-বিষয়ক লেখক যুধাজিৎ দাশগুপ্ত ছৌ-মুখোশের এই কর্মশালায় উপস্থিত থেকে ছোটোদের কাজে উৎসাহ দেন। পুরুলিয়ার চড়িদা-র মুখোশ শিল্পীরা সঙ্গে অনেক মুখোশ এনেছিলেন। দু-দিন ধরে কমিউনিটি সেন্টারের সামনে নানা রকম মুখোশের প্রদর্শন করেন। এই অঞ্চলের জনমানসে এ বিষয়ে যথেষ্ট উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ করা যায়।
শুভেচ্ছা নেবেন সব্বাই। শুভেন্দুদার স্বপ্নকে যত্নে রক্ষা করুন আপনারা। সর্বদা সঙ্গে আছি।
ধন্যবাদ অভি। এভাবেই পাশে থেকো। শুভেন্দুদার স্বপ্নকে আমরা সার্থক করবোই।
এভাবে আপনারাও অমল আলো র পাশে থাকবেন, এবং সবসময় নাটকের খবরাখবর দিয়ে সহযোগিতা করবেন।