নিজস্ব প্রতিবেদন : ২৬ বছর গাঁড়াপোতা শপ্তক এর জন্মদিন পালন হলো সম্প্রতি গোবরডাঙ্গা বিচিত্রা হলে। ১৯৯৬ সালের ২২ মে এই দলটির প্রতিষ্ঠা দিবস।
সেদিনের “কচি সংসদ” থেকে আজকের “গাঁড়াপোতা শপ্তক”, এই দীর্ঘ পথ বহু চড়াই উৎরাই এর মধ্য দিয়ে গেছে। বনগাঁর এক প্রান্তিক অঞ্চল গাঁড়াপোতা যেখানে শিল্প সংস্কৃতি চর্চার আলো শপ্তকের সংস্পর্শে অনেকটাই আলোকিত হয়েছে।
এবছর তাঁদের ২৩ তম নাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হয় গত ১৯, ২০, ২১ জুলাই। দলের আহবায়ক অভিনেতা পরিচালক প্রণয় বিশ্বাস ও অরুণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন।
এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের অধিকর্তা ও নাট্য বিশেষজ্ঞ অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন বিশেষ অতিথি শংকর নন্দী সহ আশিস দাস, দীপান্বিতা দাসবণিক।
উৎসবে যেসব নাটকগুলি মঞ্চস্থ হয় সেগুলি হলো গোবরডাঙ্গা নকসার ‘ইয়েস’, রচনা ও নির্দেশনা ভূমিসুতা দাস। বসিরহাট কিংশুক প্রযোজনা ‘ময়নামতি ইতিকথা’, রচনা তমাল সেন, নির্দেশনা মুকুন্দ চক্রবর্তী। শপ্তক এর নিজস্ব প্রযোজনা ‘নিরাশ্রয়’। নাটক স্বপনরঞ্জন হালদার নির্দেশনা প্রণয় বিশ্বাস।
দ্বিতীয় দিনে থিয়েটার শাইন প্রযোজিত ‘পোস্টমাস্টার’। রচনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নির্দেশনা শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় নাটক গাঁড়াপোতা শপ্তক প্রযোজিত ‘সাধারণ মেয়ে’, রচনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নির্দেশনা তিরুমা চট্টোপাধ্যায় ও প্রণয় বিশ্বাস। হিন্দোল প্রযোজিত ‘ধানী মুন্ডার বিরসাচরিত’। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা উজ্জ্বল আদিত্য। শেষদিন অর্থাৎ ২০ জুলাই সন্ধ্যায় প্রথম নাটক শপ্তক প্রযোজিত সব্যসাচী দেব রচিত, ‘কৃষ্ণা’। নির্দেশনা রিয়া মল্লিক ও প্রায় বিশ্বাস। ঠাকুরনগর অনুরঞ্জন প্রযোজিত ‘বিগবাজার’, নির্দেশনা মিন্টু মজুমদার। সবুজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ‘মিরর’, রচনা ও নির্দেশনা রাজেশ দেবনাথ।
এই তিনদিন দর্শক ছিল চোখের পড়ার মতো। মফস্বল থিয়েটারে জাঁকজমকপূর্ণ আলোর রোশনাই যতই থাকুক সেই উপচে পরা মানুষের ঢল, টিভির হাতছানি থেকে থিয়েটারকে ক্রমশ পিছিয়ে রাখার এই অমানবিক প্রয়াস থেকে মুক্তির পথ কোথায়!
সেই উত্তরের খোঁজে থিয়েটারের এই লড়াই আগামীদিনে কতটা কঠিন হতে পারে তার দিশা দেবে এই উৎসবগুলি।
অমল আলো জার্নাল এর পক্ষ থেকে অকৃত্রিম শুভেচ্ছা।