অমল আলো জার্নাল | ৪৫ তম সংখ্যা | ২৭ অগাস্ট ২০২২

সম্পাদক – অভি চক্রবর্তী
নির্বাহী সম্পাদক – অসীম দাস

নাটক শুরুর আগে সব পরিচালকের মতো আমার পরিচালক যে কথাগুলো বলেন, অভিনেতাকে মোটিভেট করেন, জানিনা সবার কি মনে হয়। তবে আমার মনে হয় কথাগুলো যখন যে পরিচালক বলেন, যেভাবে মনের অন্দরে পরশের আগুন জাগাতে সাহায্য করেন সেগুলো জানাতে চাই আজ।

মঞ্চে উঠে অভিনয় কোরো না। অভিনয় ছাড়া যা মন চায় তাই করবে আজ।
রোজ একই একঘেয়ে সংলাপ। তাই আজ হোক সংলাপের বিনির্মাণ।
শুধু শোনো আর দ্যাখো। ভেতর গুঁড়িয়ে যা বেরিয়ে আসবে সেটাই দামী সংলাপ।
গুছিয়ে ধ্যাড়াও। গুছিয়ে ভুলে যাও। সবটাই গুছিয়ে। গুরুদেবের কবিতার খাতায় কাটাকুটি তো শিল্প…
চরিত্রকে বাহন করবে। আবার বহনও করবে। দুয়ের মধ্যে স্থিতাবস্থা আনতে তোমরাই পারো।
সৎ অভিনেতার “টেনশন” বলে কিছু হয় না। মরীচিকার মতো টেনশন এক অলীক কল্পনা।
তোমার আত্মশক্তি শ্বাসবায়ু। কিপটেমি না করে সব সময় বুক ভরে শ্বাস টেনে নিও।
অভিনয়ে ঠিক ভুল বলে কিছু হয় না। তুমি তোমার নিজস্বতা দিয়ে যা অকপট প্রমাণ করবে তাই যথার্থ।
মুখস্থকে আশ্রয় করো, নির্ভর কোরো না।
তুমি যা বিশ্বাস করাবে তা দর্শক বিশ্বাস করতে বাধ্য। তো যাও। নিজেকে প্রকাশ করো আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে জ্বলে ওঠো।
পাঠ একটু হোক আর অনেক, মঞ্চে পা দিয়ে বলো এটা আমার সীমানা, আমিই বাদশা, আমাকে দেখতে হবে, শুনতে হবে আমার কথা।

প্রথম দিন যে অভিনয় করতে এলে আর বহুদিন ধরে যে করে যাচ্ছো তোমার গুরুকে প্রণাম সালাম করে যেও। সফল তুমি হবেই। জীবনে অভিনয় সবাই করতে পারে কিন্তু মঞ্চে পারেনা। মঞ্চে একমাত্র অভিনেতাই পারে মায়া সৃষ্টি করতে, হাসাতে, কাঁদাতে আনন্দ দিতে।