ওয়েক আপের নবম নাট্য উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদন

“পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল হতো দূর…”

এই বছর অর্থাৎ ২০২২ ওয়েক আপ নাট্য উৎসব, পাড়া পড়শির থিয়েটার অগাস্ট মাসের চারটি রবিবার জুড়ে অনুষ্ঠিত হলো। এই শুভবার্তা অনেক আগেই পৌঁছে গেছিলো আমাদের পাড়ায়,পড়শীদের ঘরে ঘরে এমনকি আমাদের জেলায়, জেলার বাইরের পাড়াতেও। প্রতিবছরের মতো এবছরও আনন্দের ছোঁয়া প্রাণে জাগিয়ে, শহরকে ভালো নাটক দেখার সুযোগ করে দিয়ে সম্প্রতি শেষ হলো “সাঁইথিয়া ওয়েক আপ নাট্যদলের নাট্য উৎসব পাড়াপড়শির থিয়েটার নবম বর্ষ”। অগাস্ট মাসের ৭, ১৪, ২১, ২৮ তারিখ অর্থাৎ প্রতিটি রবিবার জুড়ে নাচ, গান, কবিতা, ১১ টি নাটক, একটি সেমিনার ও অনেকগুলি সম্মাননা পর্ব নিয়ে এই অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছিল। উদ্বোধন করেন শহরের পৌর পিতা শ্রী বিপ্লব দত্ত মহাশয়। এবছর ওয়েকআপ সম্মান জানানো হয় শ্রী হরপ্রসাদ চক্রবর্তীকে। এছাড়া বিভিন্ন দিনে অংশগ্রহণ করেছে যথাক্রমে – সৃষ্টি সালকিয়া, বাটানগর প্রেক্ষাপট, হরিপাল আশ্রমিক, রঘুনাথগঞ্জ থিয়েটার গ্রুপ, সিউড়ি রঙ্গসাথী, বোলপুর কিণাঙ্ক, সিউড়ি এখনই, এবং আমরা সাতকাহনিয়া, দুবরাজপুর সেঁজুতি, ব্যান্ডেল চারণিক এবং আয়োজক সংস্থা ওয়েক আপ নাট্যদল।

সঙ্গে ২১ অগাস্ট সেমিনার এর বিষয় ছিল – “থিয়েটার অভিশাপ না আশীর্বাদ”। বক্তব্য রাখেন – বিজয় মুখোপাধ্যায় এবং ন্যান্সি রায়। “ঘুমুর এবং ঋককথা নৃত্য গোষ্ঠীর” মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হয় যথাক্রমে ১৪ এবং ২৮ অগাস্ট। উৎসবের প্রথম নাটক আয়োজক সংস্থা ওয়েক আপ পরিবেশন করে তাঁদের নবতম প্রযোজনা – “হু অ্যাম আই”। চার পর্বের এই উৎসব নিয়ে সম্পাদক পান্নালাল ভট্টাচার্য বলেন – ‘এবছর আমরা কোনো অনুদান পায়নি। তবুও অনেক খরচ এবং পরিশ্রম করে আমরা এত বড় একট অনুষ্ঠান আয়োজন করলাম, আমরা চাই সাঁইথিয়ার মানুষ, সারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নাটক দেখার সুযোগ পাক’। দলের পক্ষে সভাপতি তীর্থজিৎ ঘোষ বলেন- ‘নাটক প্রচারের স্বার্থে শহরের নাট্যমোদী দর্শকদের ভালো নাটক দেখানোর অঙ্গীকার এবং দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা প্রতি বছর এরকম একটি বিরাট নাট্য উৎসবের আয়োজন করে থাকি। এ বছরও অতিমারি পেরিয়ে এসে অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিটি রবিবারই বিপুল দর্শক উপচে পড়েছে সাঁইথিয়া রবীন্দ্র ভবনে’।

2 thoughts on “ওয়েক আপের নবম নাট্য উৎসব

Comments are closed.