সৌমেন্দু হালদার
গত ৩০ মার্চ সোনারপুর উদ্দালকের আয়োজনে অশোকনগর অমল আলোয় আয়োজিত হল ‛নাট্য-মিতালী-৪’। এই নাট্য-সন্ধ্যার উদ্বোধন করেন অশোকনগর নাট্যমুখের বিশিষ্ট অভিনেত্রী শ্রীমতি সংগীতা চক্রবর্তী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশিষ্ট অতিথিগণ ছিলেন কালীনগর ঐকতানের নির্দেশক শ্রী দীপক নায়েক, সেমন্তী নৈহাটির নির্দেশক শ্রী অলোক মিশ্র এবং অশোকনগর নাট্যমুখের নির্দেশক শ্রী অভি চক্রবর্তী। তাঁদেরকে উত্তরীয় এবং স্মারকের মাধ্যমে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয় সোনারপুর উদ্দালকের পক্ষ থেকে। এরপর ‛Theatre and Truth’ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন শ্রী অভি চক্রবর্তী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে দর্শকদের জন্য সাজানো ছিল তিনটি চিত্তাকর্ষক এবং এ সময়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রযোজনা।
তার প্রথমটি ছিল কালীনগর ঐকতানের ‛সে ও বিকর্ণ’। স্বল্পদৈর্ঘ্যের এই একক অভিনয়ে ফুটে ওঠে মহাভারতে ধৃতরাষ্ট্র-পুত্র বিকর্ণ এবং তারই অনুরূপ বর্তমান সময়ের এক যুবকের অসহায়তা। নির্দেশনায় দীপক নায়েক। দ্বিতীয় প্রযোজনা নৈহাটি সেমন্তীর ‛আদাব’ সমরেশ বসুর এক ক্লাসিক কাহিনী যা চিরকালই প্রাসঙ্গিক। তার সঙ্গে জুড়েছে দুই মুখ্য অভিনেতার সাবলীল অভিনয়। নির্দেশনায় অলোক মিশ্র। তৃতীয় প্রযোজনা সোনারপুর উদ্দালকের নবনির্মিত নাট্য ‛হচ্ছেটা কি’, প্রচেত গুপ্তের কাহিনী অবলম্বনে একটি রাজনৈতিক ডার্ক কমেডি। হাস্যরসের আড়ালে বর্তমান রাজনীতির করুন পরিস্থিতি তুলে ধরতে চেয়েছেন নির্দেশক এবং নাটকের মুখ্য অভিনেতা শ্রী পার্থ গোস্বামী। সোনারপুর উদ্দালকের পরিকল্পনামাফিক এবং আন্তরিক এই আয়োজন স্থানীয় নাট্যামোদী দর্শকদের এক বর্ণময় সন্ধ্যা উপহার দেয়।
Please change the title. That will be “Natyo Mitali – 4”. That was mentioned in every advertisement include the banner.