অসীম দাস
সময়ের পরিসরে সাহিত্য চর্চায় যতটুকু আলো জ্বলছে সেই তুলনায় নাট্যচর্চায় আঁধারের ছায়া পড়েছে পরিমানে বেশি। প্রায় অস্তমিত অশোকনগরের নাট্য আন্দোলন। বর্তমানে দু একটি দল নিয়মিত নাট্যচর্চার মধ্যে দিয়ে অশোকনগরের নাম রাজ্য, দেশ ও দেশের বাইরে প্রচার ও প্রসারের কাজে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছে।
জীবন এগিয়ে চলেছে স্যালেটাইটের দিকে। প্রচার পেতে ব্যস্ত আজকের নতুন নৈবেদ্য নাট্যকর্মীরা। শূন্য বুক নিয়ে তবু প্রেমের পূজারী হয়ে সাহিত্যচর্চার ভাড়ার কিন্তু শূন্য নয়! যে সব পত্র পত্রিকা আজও বাঁচিয়ে রেখেছে সেই সময়কে,তাদের অদম্য সহযোগিতা উত্তরসূরিদের ভুলি কি করে?
কিছুদিন আগে বর্তমান বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর উদ্যোগে অশোকনগর উৎসব হয়ে গেল। বিধায়কের আহ্বানে এক ছাদের নিচে দেখা গেল নয় নয় করে এগারোটি এই অঞ্চলের নাট্যদলের প্রতিনিধিকে। বেশিরভাগ দলের বাতি টিমটিম করে জ্বলছে অধবা নিভে গেছে! বা একাই জ্বলছে! শুধুমাত্র নিয়মিত নাট্যচর্চায় নিয়োজিত কয়াডাঙ্গা সবুজ সাংস্কৃতিক, অশোকনগর প্রতিবিম্ব, অর্ক, আইপিসিএ (শিশুউৎসব কমিটি) এবং অশোকনগর নাট্যমুখ।
বামপন্থী জীবন যাপনে যে সব পত্র পত্রিকা বা সম্পাদকগণ বহুদিন বাঁচিয়ে রেখেছেন বা আজও কিছু কিছু পত্র পত্রিকা বেঁচে আছে, সেই নামগুলোকে এক লাইনে বলার চেষ্টা করতে পারি শুধু মাত্র। কারণ সত্তরের আগে এবং পরে সেই সময় পত্র পত্রিকা আমাদের চাক্ষুস দেখা হয়ে ওঠেনি।
সেই সময়কে প্রভাবিত করছে তেমন কিছু পত্র পত্রিকার নাম পাওয়া গেছে বহু লেখালেখির মধ্যে। অনেকেই সেই সব পত্রিকার সংখ্যা বুক দিয়ে আগলে রেখেছেন।
স্মৃতির মণিকোঠায় সাজানো অশোকনগর কল্যাণগড়ের সাহিত্য রসিকদের আজীবন মনে থাকবে যেসব পত্র পত্রিকার কথা — ‘কচিকাঁচা ‘ -ই প্রথম ‘ সব পেয়েছির আসর’ থেকে ১৯৫৫ সালে অনিল ঘোষ ও কমল রায় সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ত্রৈমাসিক একটি শিশু সাহিত্য পত্রিকা। ‘ঋতুপত্র ‘ ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত কবিতার কাগজ। সম্পাদনা : ইন্দুভূষণ দাস ও বীরেন্দ্র নিয়োগী। ১৯৫৬ তে ‘যুগবার্তা’ নামে পাক্ষিক প্রথম আঞ্চলিক সংবাদ পত্র প্রকাশিত হয়। ‘ নহবত ‘ নামে অনিয়মিত বার্ষিক সাহিত্যপত্র , ১৯৬০ সালে দু একটি সংখ্যা প্রকাশিত হয় বাণীপুর থেকে ‘অন্বেষা ‘ সম্পাদকদ্বয় : প্রসেনজিৎ মল্লিক জগন্নাথ ঘোষ। ১৯৬৫ সালে ‘ অশোকনগর বার্তা ‘ নামে পাক্ষিক সংবাদপত্র প্রকাশ পায়, সম্পাদক ছিলেন অবনী ধর। কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা নয়াদুনিয়া ( প্রথম প্রকাশ- পাক্ষিক, জুলাই ১৯৬৫) সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সভাপতি বীরেন্দ্র নিয়োগী। অশোকনগর বার্তা ( ১৯৬৫, পাক্ষিক সংবাদ পত্র), অন্বিষ্ট বা যুবঅন্বিষ্ট পত্র (১৯৭০, ত্রৈমাসিক সাহিত্য), নতুন যুগ (১৯৭২ পাক্ষিক সংবাদ পত্র), বাণীপুর থেকে পীযুষ ঘোষ সম্পাদিত ‘ অভিব্যক্তি ‘ ১৯৭৩ সালে প্রকাশ পায়। দীলিপ মুখোপাধ্যায় জীবন সাহা সম্পাদিত ‘আজকের ছোটগল্প’ (১৯৭৫ ত্রৈমাসিক গল্প পত্র, ‘অশনি’ ১৯৭৫ এপরিমল দে সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৮১ তে ‘কর্ণিকা’ প্রকাশিত হয় পাঁচুগোপাল হাজরার সম্পাদনায় নালন্দা থেকে। ‘কল্যাণগড় বান্ধব ‘ পাক্ষিক সংবাদপত্র কয়াডাঙ্গা থেকে আরতি কুন্ডু সম্পাদনায়। ‘কল্যাণী’ কল্যাণগড় থেকে নারায়ণ দে ও খুকু সাধুর সম্পাদনায়। কল্যাণগড় থেকে আরও একটি পত্রিকা দ্বিজেন চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘ গ্রামের কথা’ ‘ উত্তর চব্বিশ পরগণা বার্তা’ এই নামে সংবাদ পত্র ১৯৮২ তে অনিল সরকার ও চিত্ত সরকার সম্পাদিত হয়েছিল । এই সময় কালেই পাক্ষিক সংবাদপত্র ‘আগামী দিন’ সুহাস ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছিল। নির্দিষ্ট দশক নয়, কবিতা আন্দোলনে একটি ব্যতিক্রমী নাম ‘অভিষেক’ পনেরো দিনে (পাক্ষিক) প্রথম নিমতা পরে অশোকনগর থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হয় ১৯৮২ তে। ১৯৮৫ তে পাক্ষিক সংবাদ সাহিত্য পত্র ‘অশোক কল্যাণ’ সম্পাদক : প্রলয় দত্ত। ‘অঘোষিত বিধায়ক’ ১৯৮৭ তে সাপ্তাহিক সংবাদ সাহিত্য পত্রিকা, সম্পাদক : শ্যামল চট্টোপাধ্যায় প্রফুল্লনগর থেকে। ‘ কুঁড়ি’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৭ তে সাহিত্য পত্র, সম্পাদক: চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বজিৎ সরখেল সম্পাদিত ‘অন্যরকম’ ১৯৯৬ তে সংবাদের কাগজ প্রকাশিত হয়। ‘এমনি’ সম্পূর্ণ একটি কবিতার কাগজ ১৯৯৬ তে অনির্বাণ দাস ও শুভাশিস চক্রবর্তীর প্রথম যুগ্ম সম্পাদনায় প্রকাশ পায়। আরো বেশ কয়েকটি নাম করাই যেতো। পরবর্তীতে সেই সব পত্রিকার মান ও চরিত্র নিয়ে আলোচনা করবো, সমালোচনা নয়।
অশোকনগর বয়েজ সেকেন্ডারি উচ্চবিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক তথা সমাজসেবী প্রাবন্ধিক কবি সত্য গুহ বাংলা গদ্য পদ্য আন্দোলনের অশোকনগরের অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর লড়াই সংগ্রাম একাগ্রতা ভাবনাও কম ছিল না এই উপনগরী গঠনে।
সাম্প্রতিক কালে কবি প্রয়াত হন। কোভিড পরিস্থিতির শিকার ও বাধর্ক্যজনিত কারণে চির নির্বাসন নেন পৃথিবী থেকে । তাঁর অজস্র লেখা আজ সম্পদ হয়ে আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। তাঁর বিশেষ কাব্যনাট্য রচনা ঈশ্বরী পাটনী (প্রযোজনা-অন্বীক্ষা, নির্দেশনা – সমীর কুন্ডু, শহীদ সদনে ২০০৪ সালে সমীর কুন্ডুর অসাধারণ শৈলী ভাষার প্রয়োগ দেখেছিলাম) সহ বহু গ্রন্থ বর্তমানে অশোকনগর লাইব্রেরিতে রাখা আছে।
‘খা খা করা রমনীর ছাপওয়ালা ক্যালেন্ডারে অঘ্রায়ণ মাস আসে
মাইক্রোস্কোপেও আর হিমে আর্দ্র রোদ্দুরে পিঠ দিয়ে বসা গ্রাম নেই
আবনগাঁ সুন্দরবন বর্ধমান সাঁওতাল পরগণা
এখন কলকাতা
এখন আর কলকাতা র অভিধানে ‘নবান্ন’ মেলেনা’…
( ২০০২ সালে কবিতা প্রকাশিত হচ্ছে অযান্ত্রিক পত্রিকায় কবি সত্য গুহর কলমে)
এসব চালচিত্র সর্বদা জ্বলজ্বল করে চোখের সামনে। কাকভোরে কুয়াশা জড়ানো চৌরঙ্গীর মোড়ে আড়মোড়া ভাঙে আমার প্রাণেশ্বরী।তার হাত ছুঁয়ে যায় তিন নং শ্মশানের পা থেকে পুরনো ধানকলের মোড়, বাদামতলা, আট নম্বর কালীবাড়ি, কচুয়া মোড়, বিজয় ফার্মেসী হরিপুর নালন্দা মোড়। আশপাশের গ্রামের চাষীদের ভ্যানের উপরে টাটকা জোরালো সবুজ মন ওদের আবার ঠেলে ইসারা করে। এপারে একা একা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের পাণিগ্রাহী কল্যাণী সরকারের নামে কল্যাণী স্পিনিং মিল যশোর রোডের কাছে চিমনির গা থেকে ভালোবাসার ধুয়ো আর ভোঁ শব্দ এসে মিশে যেত আশ্রাফাবাদ নতুন কলোনি হয়ে বাণীপুর অঞ্চলে। চঞ্চল হয়ে উঠত প্রাণেশ্বরীর চারপাশের মন্দির মসজিদ আর গির্জার চারপাশ।
দশদিক থেকে মানুষ ছুটছে উর্দ্ধশ্বাসে স্রোতের মতো মধ্য অশোকনগরের জনপ্রিয় স্থান গোলবাজারে। ভারি অদ্ভুত, এমন মজার একটি এলাকা যেখানে মেলবন্ধন ঘটে প্রতিদিন ভোর তিনটে থেকে রাত বারোটা অবধি। মাঝখানে একটি জলের ট্যাঙ্ককে ঘিরে পরপর বৃত্তের বলয় ঘুরে ঘুরে ঢুকে যাচ্ছে কেন্দ্রে,ছুটে চলেছে ব্যাস বরাবর ,টানছে যে কোনো জ্যা বা বৃত্তচাপ জুড়ে সেই একই জায়গায় ঘিরে আসার খেলা বড় মজাদার। যারা প্রথম এখানে বেড়াতে আসেন, মনের মতো করে ঘর গোছানোর জিনিস কিনতে আসেন পি এল ক্যাম্প অবধি টেনে দেওয়া রানওয়ে দেখতে আসেন। তারা আজ এলে হয়তো ভারী অবাক হবেন, দিশেহারা হবেন।
নিউমার্কেট নাম অথচ কোনো কালেই বাজার ছিল বলে শুনিনি। দু একটা মুদিখানা দোকান আর একটি প্রতুলা সুন্দরী মঞ্চ। নামেই মঞ্চ, অন্য কোনো ব্যবস্থা ছিল না, এখনও নেই।কাউকে অনুষ্ঠান করতে হলে ভাড়া করে এনে প্যান্ডেল বেঁধে করতে হতো। এখানে একসময় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতাও হয়েছে। জনকল্যাণ সভা ক্লাবের আয়োজনে।
বাম জমানায় পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে প্রায় সব ছোট বড় শহরে নির্মিত হয় রবীন্দ্র ভবন, রবীন্দ্র সদন, শহীদ সদন। অশোকনগরেও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় আটের দশকে । উত্তরে বাণীসংঘ প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণে শক্তিসাধনার ক্লাব ( অশোকনগরে প্রথম এই সংঘ প্রতিষ্ঠা হয়) পশ্চিমে সংহতি পার্ক, পাশেই শিববাড়ি মন্দির। অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি শহীদ সদন। অশোকনগরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ‘শহিদ সদন’। উপর নিচে মিলিয়ে তখন ১১০০ আসনের ওই অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন হয় ১৯৮৪ সালের ২৭ মে। তৎকালীন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী প্রশান্ত শূর উদ্বোধন করেছিলেন।
পার্টির মিটিং, কনফারেন্স, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই বেশি হতো। নাটকের জন্য ব্যবহার পাশাপাশি গোবরডাঙ্গা হাবরা অঞ্চল থেকে নাট্যদলগুলি ভাড়া দিয়ে অনুষ্ঠান করতো। অস্বাভাবিক ভাড়া এবং অব্যবস্থায় ধীরে ধীরে রুগ্ন হতে থাকল ভবনের ভেতর এবং বাহির সহ চারপাশ। ১৯৮৬ সাল থেকে আজও সেখানে প্রতিবছর নাট্যোৎসব করে অভিযাত্রী, সামাজিক সাংস্কৃতিক নাট্যদল। আগে একাঙ্ক নাটকের প্রতিযোগিতা হতো পাঁচদিন ধরে। এখন শুধুই আমন্ত্রিত নাট্যোৎসব। অবাধ প্রবেশে রুচিসম্মত দর্শক পাওয়াতে কোনোদিন ভাটা পড়েনি তাঁদের ।
পরবর্তীতে দেখা যায় নানা সমস্যা। জমে থাকত বৃষ্টির জল, সাউণ্ড সিষ্টেমে গন্ডগোল, গরমে পাখার আওয়াজে শব্দ পৌঁছত না দর্শকের কাছে, ছিলনা বিশেষ অতিথিদের বসার ভালো ব্যবস্থা। পরবর্তীতে ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ তে দ্বিতীয়বার শহীদ সদন প্রেক্ষাগৃহের দ্বারৎঘাটন করেন বারাসাত লোকসভার সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁরই সাংসদ তহবিল ও অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার উদ্যোগে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা খরচে বর্তমানে বিজ্ঞানভিত্তিক সাউন্ড সিস্টেম এলিডি আলো, সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং ১২০০ ভিআইপি চেয়ার। বাইরে সুসজ্জিত বড় গেট, টিকিট কাউন্টার, মঞ্চের ভেতরে দুপাশে নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সত্যজিৎ রায়ের বিশাল দুটি সাদাকালো ছবি জ্বলজ্বল করছে। শহীদ সদন নাম হলেও কোথাও কোনো শহীদের মূর্তি ছিল না এতদিন । পরবর্তীতে বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্তে মাতঙ্গিনী হাজরার একটি বড় প্রতিমূর্তি প্রেক্ষাগৃহের মূল গেটের কাছে বসানো হয়েছে। আবক্ষ মূর্তিটির উন্মোচন করেন বতর্মান সরকারের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। এছাড়াও ফোয়ারা, বাগান, পার্কিং এবং নতুন রঙে নবরূপে ‘শহিদ সদন’ সেজে উঠেছে।
পরিশ্রম করে, তথ্য সংগ্রহ করে অত্যন্ত যত্নে অমল আলো জার্নালে অশোকনগরের অতীতকে তুলে ধরছেন, জার্নালের নির্বাহী সম্পাদক অসীম দাস। সকলকে অনুরোধ পড়ুন এ লেখা, আর কোনো তথ্য জানা থাকলে জানান আমাদের।
জানা গেলো অনেক কিছু,, জানলাম ও অনেক কিছু অভি দা।। আগামী দিন গুলো আরও উজ্জ্বল হোক ❤️
বরাবরের মতই শ্রদ্ধেয় অসীম দাসের কলম অনুধাবনে ঋদ্ধ হলাম। অশোকনগরের আমল আলো জার্নাল প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের সামনে এমন অনেক অজানা তথ্য নিয়ে আসে যা এতদ্ অঞ্চলের অন্য কোন পত্র-পত্রিকা বা ওয়েব ম্যাগাজিনে দেখা যায়না; বা সাধারণ মানুষের কাছে সেই সব গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস অজ্ঞাতই রয়ে যেত। অমল আলো জার্নাল এবং শ্রদ্ধেয় লেখককে অনেক ধন্যবাদ। আমার মতো সাধারণ পাঠকের- লেখকের ত্রুটি ধরিয়ে দেবার মত প্রজ্ঞা বা ধৃষ্টতা নেই, তবে এটুকু বলতে চাই ; আজকের এই অংশে বানানের প্রতি বিশেষ নজর দিলে পড়তে গিয়ে বেশ কয়েকটি যায়গায় হোঁচট খেতে হত না।
ছোট বয়স থেকে রাধা কেমিক্যাল পার্কে, কে.এস.সি র মাঠ মাড়িয়ে হেঁটে কল্যানগড় স্কুলে যেতে হতো। লেখক যদি কোন ভাগে ঐ দুই স্থান সম্পর্কে নেপথ্য তথ্য তুলে ধরেন উপকৃত হব।
আর একটি কথা – খুব ভুল না করলে, শ্রদ্ধেয় সুবোধ ভট্টাচার্য সম্পাদিত ‘নহবৎ’ পত্রিকাটি সত্তর দশকের। ঐ সময়ের আর একটি পত্রিকা দিলীপ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘সংবেদন’।
সব শেষে, যেহেতু অশোকনগর লাগোয়া প্রফুল্ল নগরের শ্যামল চট্টোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেছন লেখক, তাই জন্য মনে করিয়ে দিতে চাই প্রফুল্ল নগর থেকে সত্তরের দশকে আরও একটি পত্রিকা প্রকাশ হত ‘শব্দপ্রতিমা’; যার নাম আজও কোন ইতিহাস রচৈতা বা কোন লেখকের কলমে তুলে আনতে দেখিনি।
জরুরি সংযোজন। লেখক খেয়াল রাখবেন। আশাকরি।
দিলীপ মুখোপাধ্যায় এর কথা বললেন ভালো হলো,খুব শীঘ্রই কথা বলবো। আর সব পত্র পত্রিকার কথা লিখিনি এই কারণে অশোকনগর থেকে প্রকাশিত হলেও লেখক বা সাহিত্য চর্চা হয়েছে মহানগর ঘেঁষা। তবু পরবর্তীতে যদি সুযোগ ঘটে তাহলে অবশ্যই শব্দপ্রতিমা এর কথা আলোচনায় আনবো তা আগে অবশ্যই আপনার সহযোগিতা প্রয়োজন।