প্রাথমিক নাট্য এবং নাট্যশাস্ত্র
নাট্যোৎপত্তির পরে, উপাখ্যান বা কিংবদন্তী অনুসারে, ব্রহ্মা তা শেখালেন ভরতমুনিকে। দেবরাজ ইন্দ্র, দেবতাদের এ শিল্প শেখার অক্ষমতা জানালেন ব্রহ্মাকে। তিনি বললেন মুনিরা কষ্টসহিষ্ণু ইত্যাদি, তাঁরাই পারবেন। অতএব ভরতের নেতৃত্বে মুনিগণ, যাঁদের ভরতের সন্তানও বলা হচ্ছে (সম্ভবত শিষ্য অর্থে), তাঁরা শিখলেন নাট্য। এবারে প্রয়োগের পালা। ব্রহ্মার কাছে ভরত গিয়ে জানালেন যখন, শিক্ষাদান সম্পূর্ণ হয়েছে, তখন ব্রহ্মা ইন্দ্রধ্বজ অনুষ্ঠান উপলক্ষে এর প্রয়োগ ঘটাতে বললেন।
এখানে আমরা বুঝতে পারছি যে এই নাট্য প্রাথমিকভাবেই উৎসবের সঙ্গে জড়িত। এর সঙ্গে যদি আমরা কীথের মতামত যুক্ত করি তাহলে তার আরেকটি অর্থ বেরোয়। কীথ তাঁর The Religion and Philosophy of the Veda and Upanișads-এ যজ্ঞের সময়কালে অনুষ্ঠিত আনন্দজনক অনুষ্ঠানের মধ্যে বলছেন যুদ্ধের অনুকৃতির কথা। ওদিকে আমরা দেখছি ভরত তাঁর শিষ্যদের নিয়ে ইন্দ্রধ্বজ উৎসবে নাট্যের প্রয়োগ ঘটাচ্ছেন। সেখানে প্রথম নাট্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে দৈত্যদের পরাজয়ের। তাতে দেবপ্রিয় নান্দী যুক্ত হচ্ছে। তারপরে দেবতারা ইন্দ্রের নেতৃত্বে দৈত্য বা অসুরদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন তার অনুকরণ করা হচ্ছে। সেখানে ক্রোধপূর্ণ সংঘর্ষ থেকে অঙ্গচ্ছেদ, অঙ্গহানি ইত্যাদি সবই ছিল।
এর সঙ্গে যদি আমরা নাট্যশাস্ত্রের বৃত্তিগুলির উৎপত্তি সংক্রান্ত কিংবদন্তীকে যোগ করি তাহলে বৃত্তিগুলির সামরিক চরিত্র সম্পর্কেও বোঝা যায়। নাট্যশাস্ত্রের বাইশতম অধ্যায়ে এই সংক্রান্ত কিংবদন্তীটি নিয়ে আলোচনা করি, যা অভিনবগুপ্তও অনুসরণ করেছিলেন। এই অধ্যায় বলছে, নাট্যের আগে বৃত্তি জন্মেছে। নাট্যশাস্ত্র বলছে ব্রহ্মা বহুযুগ আগে বৃত্তির জন্ম দিয়েছেন। তারপরে কিংবদন্তী অনুসারে এক মহাপ্রলয়ের পরে আবার বিষ্ণু দৈত্যদমন করতে সেই বৃত্তিসমূহ প্রয়োগ করেন। এখানে তার বিস্তারিত আলোচনায় যাব না। সময়ে সে আলোচনা করব।
আপাতত দেখার বিষয় সামরিক ক্ষেত্রে বৃত্তি প্রয়োগের এই ভাবনাটি ভি রাঘবনের ভাবনার মধ্যেও এসেছে। তিনি দেখিয়েছেন সাত্ত্বতী বৃত্তি সুদূর অতীতের মল্লযুদ্ধের বা দ্বৈত যুদ্ধ থেকে জন্ম নিয়েছে ইত্যাদি। তাঁর তত্ত্বের সঙ্গে অর্থাৎ সাত্ত্বতী মল্লযুদ্ধ থেকে এসেছে, আরভটী নয়, এর সঙ্গে সহমত না হলেও নাট্যের সামরিক দিকটি নিয়ে আমাদের ভাবনার উপাদান আমরা কিন্তু পাচ্ছিই। নাট্যশাস্ত্রের নাট্যের উৎস হিসেবে সামরিক উৎসবও পাচ্ছি।
ইন্দ্রাদি দেবতার সঙ্গে যজ্ঞের সম্পর্কে আছে। বেদের সম্পর্ক থেকে অনুমান করা চলে ইন্দ্রের বিজয়োৎসব একপ্রকার যজ্ঞ থেকেই উদ্ভূত। এই প্রসঙ্গে আমরা নাট্যশাস্ত্রের কথাও একটু শুনে নিই। ভরতেরা প্রথম নাট্যটি যখন অনুষ্ঠান করছেন তখন বিরূপাক্ষ প্রভৃতি বিঘ্নগণের সঙ্গে দৈত্যরা মিলিত হয়ে সমগ্র অনুষ্ঠানটিকে বিধ্বস্ত করে দিলেন। দেবতাদের হাতে দৈত্যনাশের অভিনয় তাঁদের পছন্দ হচ্ছিল না। রঙ্গমঞ্চের নট-নটীদের বাক্য, অঙ্গসঞ্চালন থেকে স্মৃতি সবই ধ্বস্ত। ইন্দ্র চিন্তায় পড়লেন। কেমন করে সম্ভব হল এমন! তারপরে কিংবদন্তীতে যেমন থাকে, ধ্যানযোগে জানলেন দৈত্য ও বিঘ্নগণ মায়াবলে এমন করেছে। তাতে ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি তাঁর বিজয়ধ্বজ তুলে নিয়ে বিঘ্নকারীদের প্রহার করে দূর করলেন। দেবতারা স্তুতি করল। দানবদের সর্বাঙ্গ, প্রহারে জর্জর করে দিয়েছেন বলে সেই দণ্ডের বা বিজয়ধ্বজের নাম হল জর্জর।
এই জর্জরের পুজো সেই থেকে নাট্যানুষ্ঠানের অঙ্গ হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই জর্জরের শিরোভাগে দৈত্যনাশক বজ্র স্থাপিত হল। সেই বজ্রের একেকটি পর্বে একেক দেবতা অধিষ্ঠান করলেন। একেবারে শিরোভাগে ব্রহ্মা, তার নীচে শিব, তৃতীয়ে বিষ্ণু, চতুর্থে স্কন্দ এবং পঞ্চমে বাসুকী, শেষ এবং তক্ষক – এই তিন মহানাগ। ইন্দ্র নায়করক্ষার ভার নিলেন, সরস্বতী নায়িকা রক্ষার। তাতেও নিশ্চিন্ত হওয়া গেল না।
তখন দেবগণের অনুরোধে ব্রহ্মা দৈত্য এবং বিঘ্নদের বোঝাতে বসলেন নাট্যানুষ্ঠান কেন তাঁদের বিরোধী নয় ইত্যাদি। অর্থাৎ নাট্যশাস্ত্র শুরুতে স্বীকার করে নিচ্ছে প্রাথমিকভাবে একটি নির্দিষ্ট পক্ষের হয়ে কাজ করতে গিয়ে নাট্যানুষ্ঠান নিতান্তই আমোদের বিষয় রইল না। বরং রীতিমতো রাজনৈতিক-সামরিক দ্বন্দ্বের সঙ্গেই জড়িয়ে গিয়েছে। যেমন যজ্ঞের ক্ষেত্রেও এমন কাহিনী আছে। যজ্ঞ রক্ষার জন্য ইন্দ্রকে দক্ষিণদিকে অবস্থান করতে হয়েছে ইত্যাদি। এদিক থেকে দেখলে যজ্ঞানুষ্ঠান, সামরিক রীতি ইত্যাদির সঙ্গে নাট্যানুষ্ঠানের সম্পর্ক খুবই প্রাচীনে স্থাপিত হয়েছে।
অন্যদিক থেকেও দেখা চলে। অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ যেমন অনুমান করেছিলেন ‘ভারতীয় নাটকের গোড়ার কথা’-তে, বৈদিক যুগের শুরু থেকেই স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে গীত-বাদ্য-নৃত্যের চর্চা ছিল। অল্পবয়স থেকেই নাচ-গান শেখানো হত বলছেন। এই প্রসঙ্গে একটি শ্লোক, ঋগ্বেদের দশম মণ্ডল থেকে (যা খানিক অর্বাচীন এবং প্রক্ষেপ আছে) উদ্ধার করেছিলেন।
সোম প্রথমো বিবিদে গন্ধর্ব বিবিদ উত্তরঃ।
তৃতীয়ো অগ্নিষ্টে পতিস্তুরিয়স্তে মনুষ্যজাঃ।। ঋক্ ৪০
সরলার্থ, সোম প্রথমে কন্যাকে বিবাহ করেন। পরে গন্ধর্ব। তারপরে অগ্নি বিবাহ করেন। সবশেষে মনুষ্য। অমূল্যচরণ অর্থ দিচ্ছেন, মেয়েরা প্রথমে সোমরস বানাতে শিখতো, তারপরে নৃত্য (এখানে গীতাদিও যুক্ত হবে) শিখতো। অবশেষে শিখতো যজ্ঞপদ্ধতি। তারপর তাদের বিয়ে হত। কৃষ্ণযজুর্বেদের এক জায়গার উল্লেখ করে বলছেন, মার্জালীয় অগ্নি জ্বলছে; তার চারপাশে দাসীকন্যারা পা ঠুকে ঠুকে জলের কলসী নিয়ে নাচছে। সঙ্গে গানও চলছে। এই দৃশ্যকল্পের সঙ্গে এখানকার মূলবাসীদের নৃত্যের বহু মিল আছে। কে কার থেকে নিয়েছে বলা মুশকিল!
যাই হোক, নৃত্য-গীতাদি যজ্ঞের অঙ্গাঙ্গী ছিল এ কথা বোঝা যায় সহজেই। যেমন অশ্বমেধ যজ্ঞে দুজন বীণা বাজাতেন। দিনে ব্রাহ্মণ, রাত্রে রাজন্য। মহাব্রত যজ্ঞে আগে বলা সোমক্রয়ের নাট্যাভিনয়ের সঙ্গে আর্য-শূদ্র যুদ্ধানুকরণের কথাও আনছেন অমূল্যচরণ। অর্থাৎ উভয়ের মধ্যেকার সম্পর্ক একদা দেব-দানবের মতই তখনো সংঘাতপূর্ণ। নাট্যশাস্ত্র যে বৈদিকদের, তাঁদের কৌম স্মৃতিতে শত্রুতার ছাপ যেন থেকে যায়, তাই এই নাট্যাভিনয় যজ্ঞাঙ্গীভূক্ত থেকেছে বলে ভাবাই চলে।
সঙ্গে অমূল্যচরণ আনছেন বৈদিক যুগের বিশেষ দুটি অনুষ্ঠানের কথা। সভা এবং সমিতি। সভা এবং সমিতিতে আলাদা সদস্য সংখ্যা এবং ব্যবস্থা। সেখানে যেমন নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হত তেমনই তর্ক থেকে নৃত্য, গীত, বাদ্য সব চলতো। তখনো নাট্য শব্দটি আমরা পাচ্ছি না। প্রথম নট-এর উল্লেখ পাচ্ছি পাণিনির কাছে। তিনি দুটি সূত্রের (সূত্র-সাহিত্য) উল্লেখ করছেন। একটি নটসূত্র অন্যটি ভিক্ষুসূত্র। নটসূত্রকারের নাম জানিয়েছেন তিনি শিলালী। শিলালী প্রোক্ত নটসূত্র বলে কৃশাশ্বর কথা বলছেন যিনি আবার নটসূত্রের বক্তা।
প্রোক্ত কথাটির অর্থ নির্দিষ্ট কারোর দ্বারা সৃষ্ট নয়। সৃষ্ট হলে বলা হত কৃত। অর্থাৎ দীর্ঘকাল ধরে চলে এসেছে এই নটসূত্র। এই প্রসঙ্গে আমরা হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ভাবনাও জেনে নিতে পারি। হরপ্রসাদ তাঁর ‘ভরতের নাট্যশাস্ত্র’ প্রবন্ধে বলছেন নাট্যশাস্ত্রের ষষ্ঠ অধ্যায়ে বত্রিশটি শ্লোকের পরে, আসলে সূত্র এবং ভাষ্য মিলিয়ে, তার সঙ্গে নিরুক্ত ও কারিকা মিশিয়ে একটি আদ্যন্ত সূত্র গ্রন্থ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বেদে থাকত শুধু সূত্রগুলি। সেই সূত্রগুলির ব্যাখ্যা চলিত সংস্কৃতে ব্রাহ্মণেরা মুখস্থ করে নিত। তাকে বলতো ভাষ্য। তাই সূত্রের ব্যাখ্যাকে ভাষ্য বলে। সূত্র এবং ভাষ্যে যা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা আছে তাকে সংক্ষেপে বলাকে বলে সংগ্রহ। রস, ভাব, অভিনয়, পাত্র, বৃত্তি, প্রবৃত্তি, সিদ্ধি, সুর, বাদ্য, গীত – এইসকল আছে নাট্যশাস্ত্রে রঙ্গ সংগ্রহ হিসেবে। কারিকা হচ্ছে সূত্র ভাষ্যে যা আছে তা একটি বা দুটি শ্লোকে সংক্ষেপিত করে বলা।
নাট্যশাস্ত্রে কারিকাগুলি যে একজনের নয় তাও শাস্ত্রী মহাশয় জানাচ্ছেন। কারণ কখনো আর্যাছন্দের কারিকা এবং শ্লোকছন্দের কারিকাও একসঙ্গে তোলা হয়েছে। নিরুক্ত শব্দের অর্থ ব্যুৎপত্তি। ধাতুর উত্তরে প্রত্যয় করে যে শব্দ সাধন হয় তাই ব্যুৎপত্তি। তাকেই আবার নিরুক্ত বলে। কিন্তু নাট্যশাস্ত্রে নিরুক্ত বলতে ব্যাখ্যা, সিদ্ধান্ত, অন্যান্য প্রমাণ ইত্যাদিও বোঝায়। অর্থাৎ নাট্যশাস্ত্রের মধ্যে থাকা নটসূত্রটিও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নিপুণ অভিজ্ঞতার শিক্ষা।
এদিক থেকে দেখলে আমরা পাণিনি কথিত নটসূত্রটি যে প্রচলিত ছিল এবং নাট্যশাস্ত্র আমলে সেই সূত্রই হোক অথবা ভিন্ন সূত্র সংকলিত হয়েছে তা অনুমান করতে পারি। এ অনুমানের সমর্থন কালিদাসের বিক্রমোর্বশী নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের বিষ্কম্ভকেও মেলে। সেখানে বলা হচ্ছে ভরতমুনি একজন নটসূত্রকার। স্বর্গে তিনি লক্ষ্মীর স্বয়ংবর নামক একটি নাট্য প্রযোজনা করছিলেন, যাতে উর্বশী অভিনয় করছিলেন। সেখানে উর্বশী নারায়ণ বলার বদলে পুরুরবা বলে বসেন। এই ঘাতের দরুণ নাট্যে চ্যূতি হয়। ভরত তখন উর্বশীকে অভিশাপ দেন মর্ত্যে যেতে হবে বলে।
আবার ভবভূতির উত্তররামচরিত-এর ষষ্ঠ অঙ্কের বিষ্কম্ভকে আছে ভরতের নটসূত্রের কথা। একইভাবে রামায়ণে আবার আছে বাল্মিকী রামায়ণের কিছু অংশ অভিনয়োপযোগী করে তৌর্য্যত্রিক সূত্রকার (নৃত্য, গীত ও বাদ্য সূত্রকার) ভরতের হাতে তুলে দেন। রামায়ণের কালে ভরত ছিলেন কী না অথবা বাল্মিকী দিয়েছিলেন কী না এ প্রশ্ন আদপেই অর্থহীন! এঁরা ঐতিহাসিক চরিত্র না পৌরাণিক চরিত্র এ আলোচনায় সময় নষ্ট। আখ্যানের চরিত্র ঐতিহাসিক ভাবার কারণ নেই। বরং আমরা অনুমান করতে পারি নটসূত্রের মত তৌর্য্যত্রিক সূত্রকার বলেও ভরতের পরিচিতি ছিল।
এবারে প্রশ্ন হল তাহলে মূল নাট্যশাস্ত্র বলতে আমরা কিছু পাব কী না! সে প্রশ্নে যাবার আগে এতক্ষণ যা আলোচনা করলাম তার সার সংক্ষেপ করে নেওয়া আমাদের কর্তব্য। যজ্ঞাদি এবং সামরিক বিজয়োৎসবের সঙ্গে নাট্যের সম্পর্ক আমরা কিঞ্চিত বুঝলাম। সে প্রসঙ্গেই বলা চলে একদা যজ্ঞের প্রধান পুরোহিতকে ব্রহ্মা নামে অভিহিত করার চল ছিল। জটিল যজ্ঞপ্রক্রিয়ার সবটার দায়িত্বে থাকতেন তিনি। নাট্যের উৎপত্তি নাট্যশাস্ত্রের আগে হলেও,
নাট্যকে তাঁদের বিধিসম্মত করতে ব্রাহ্মণ্য প্রক্রিয়ার একে যজ্ঞাচারের সঙ্গে আরো মিলিয়ে নেবার দায়টা এমত মানুষদের উপরে থাকতেই পারত।
অমূল্যচরণ যেমন বলেছিলেন পাণিনির আগে নট শব্দটি পাওয়া যায় না তার কারণ বৈদিকদের মধ্যে দু’ধরণের ভাষা ব্যবহার তখনই প্রচলিত হয়ে গিয়েছে। পুরুষ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়াদি সংস্কৃতে কথা বলবে। শূদ্র দাস এবং নারী বলবে প্রাকৃতে কথা। সংস্কৃতে নৃৎ ধাতু পাওয়া যায়, প্রাকৃতে নট ধাতু আছে। এর থেকে তাঁর সিদ্ধান্ত নট তথাকথিত সংস্কৃত সমাজ পরে আত্মীকরণ করেছে।
আরেকটি সিদ্ধান্তেও আসা চলে। ব্রাহ্মণ্য পরিসর নাট্যনির্মাণকে গ্রাস করেছে পূর্বরঙ্গবিধানের মাধ্যমে। জর্জর পুজোর মাধ্যমে। সে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরের পর্বে আমাদের আলোচনা করার প্রয়োজন হবে।
প্রাচীন নাট্য নিয়ে এই গবেষণামূলক পরিশ্রমী এবং মেধাবী অনুসন্ধানী লেখার জন্য শুদ্ধ দাকে অনেক ভালবাসা ধন্যবাদ। থিয়েটারের ছাত্রদের কাজে লাগলে ভাল লাগবে।