গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় প্রসেনিয়াম আর্ট সেন্টার এ বিশিষ্ট নাট্যকার প্রয়াত অঞ্জন দাশগুপ্ত মহাশয়ের স্মরণ সভায় যাবার সৌভাগ্য হয়েছিল। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর স্মরণে ছিল নাট্যসন্ধ্যা আর সেই সূত্রে ভীষণ সুন্দর দুটি নাটক দেখবার সুযোগ হয়েছিল। কলকাতা রঙ্গশীর্ষের প্রযোজনায় ছিল নাটক ‘ কে কয় কন্যা’, নির্দেশক মনোজিৎ মিত্র। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তর রচনা অবলম্বনে নাট্যকার অর্পিতা দাশগুপ্তের লেখা নাটক কেকয় কন্যা মঞ্চস্থ হলো।
কেকয়ী (পৃথা ভট্টাচার্য) ও মন্থরার (প্রীতি চৌধুরী) দুজনের অভিনয় অত্যন্ত প্রশংসনীয়।প্রথমেই বলতে হয় কাব্যনাট্যে নিপুণ দক্ষতায় কোরিওগ্রাফির কথা, তার গুণে নাটক আরও বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। দুজনের পরিবেশনা দর্শককে মুগ্ধ করার মতোই ছিল। দশরথের চরিত্রের (সৌরভ) অভিনয় সাবলীল। এখানেই নাট্যকার তাঁর কলমে বলিষ্ঠতার পরিচয় দেখিয়েছেন।
এককথায় নাট্যসন্ধ্যায় ‘কেকয় কন্যা’ উপস্থিত সকল দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে আমার মতো। আমরা অনেকেই যে কথাটা এতদিন পর্যন্ত জেনে এসেছি কৈকেয়ীকে এবং বিশেষ করে মন্থরাকে খলনায়িকা হিসেবেই সুতরাং তাঁদের প্রতি একটা খারাপ ধারণা পোষণ করেই থাকি। কিন্তু এর পেছনের কাহিনির মনের কথা নাট্যকার সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন যা সমাজের মানুষের কাছে সেই চরিত্রের প্রতি শ্রদ্ধা ততটাই বেড়ে যায়। নির্দেশক মনোজিতকে ধন্যবাদ জানাতে হয় কারণ এপিক রামায়ণের চাপা পড়া বিষয়টি তিনি কাজ করেছেন, শুধু তাই নয় রীতিমতো গবেষণা করতে হয়েছে বলে মনোজিত জানিয়েছেন। বাংলা থিয়েটারে খুব হয়েছে আলোচনা হয়নি বললেই চলে। মন্থরার কুমন্ত্রণা নিয়ে মিথ আছে কিন্তু নাটকে একদমই তা অ- আলোচিত অন্তত আমার অজানা।
আগামীতেও তাদের প্রযোজনায় আরো ভালো নাটক দেখার আশায় রইলাম।
অনেক ভালোবাসা জানাই রঙ্গশীর্ষ কে। মনোজিতকে ধন্যবাদ। নাটকটা আসুক অমল আলো তে।
NISCHOI KOEBO… ONEK VALOBASA
🥰