‘অবলা ব্যারাক’। আজকাল ব্রাহ্ম সমাজের উল্টোদিকে কর্নওয়ালিস স্ট্রিটের ১৩ নম্বর বাড়িটিকে ভদ্র-অভদ্র সমস্ত মানুষ এই নামেই ব্যঙ্গ করে ডাকে। সে কেবল ও বাড়ি থেকে ‘অবলা বান্ধব’ বলে মেয়েদের পত্রিকা বেরোয় বলে নয়। এ বাড়িতে ব্রাহ্মরা মেয়ে স্বাধীনতা বলে নানান অনায্য কান্ড করে। কয়েকঘর বাপে খেদানো, মায়ে তাড়ানো, সমাজ বিতাড়িত ব্রেহ্মর বাস এ বাড়িতে। তাদেরই কেউ এ বাড়িতে মেয়েদের পত্রিকা বের করছে, কেউ মেয়েদের ইস্কুল খুলছে, কেউ আবার মেয়েরা স্বনির্ভর হবে বলে হাতের কাজ আর সেলাই শেখাচ্ছে, এমন কি লোকে শুনেছে এ বাড়ি থেকে মেয়েদের বন্দুক ছুঁড়তেও শেখানো হয়, মেয়েছেলেরাও নাকি ব্যাটাছেলেদের মতো মুগুর ভাঁজে এখানে। আজকাল আবার ঠাকুরবাড়ির সেজো ছেলে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর এসে এ বাড়িতে বাস করে। গানের ইস্কুল খুলেছে ‘ভারতীয় সঙ্গীত সমাজ।’ তা ইস্কুল তো জোড়াসাঁকোর বাড়ি থেকে এসেই চালানো যেত, এখেনে থাকার কি দরকার বোঝা দায়। নিন্দুকেরা এ নিয়ে নানান কানাঘুষো করে। দেবদূতদের মতো চেহারার বাবুটির তাতে কিছু এসে যায় বলে মনে তো হয়না।
আজকাল প্রায় দিনই নিঝুম দুপুরে এ বাড়ি থেকে মস্ত জুড়িগাড়ি বেরিয়ে খানিক এগিয়ে ডান হাতের অভদ্রপল্লীর রাস্তাখানা ধরে। বাড়িতে এতো কেউকেটা কার গাড়ি যে লজ্জার মাথা খেয়ে এমন দিনের বেলাতেই ও পল্লীতে যায়, তা বাবুটিকে চোখে না দেখলে বলা মুস্কিল। তবে ও পল্লীতে কোনও অবলা বান্ধবের প্রয়োজন পড়েনা। মেয়েদের আধিপত্য সেখানে। আর আজকাল তো থ্যাটারে নেমে বোল-বোলাও বেড়েছে তাদের খুব। কাজেই স্ত্রী শিক্ষা প্রসারে অথবা স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে গাড়ি হাঁকিয়ে কেউ যায়না একথা নিশ্চিত।
কালীমতি লাল কাপড়ের পাড় লাগানো তালপাতার পাখায় ঘরে আসা বাবুটিকে হাওয়া দিচ্ছিলো। ঠিক সে সময় টগবগ ঘোড়ার খুড়ের শব্দ আর টনটন ঘন্টা বাজিয়ে মস্ত জুড়িগাড়ি ঢোকে কর্নওয়ালিস স্ট্রিটের পতিতা পল্লীতে। এ পল্লীতে দুপুরে সাধারণত জুড়িগাড়ি থামেনা, জুড়িগাড়ি আসে রাত বাড়লে। দুপুরবেলায় দু-একখানা ছ্যাকরাগাড়ি আসে কখনও সখনও। আজকাল আর পাঁচটা বেবুশ্যে পাড়ার থেকে সম্মানে ও নামে আলাদা এই পল্লীটি। এখেনে সমস্ত বেশ্যদের কাছেই ভদ্রলোকেদের যাতায়াত। তবে বাবুদের তো রস চাগায় রাত বাড়লে। আজ এই ভর দুপুরে জুড়িগাড়ি হাঁকিয়ে কার কাছেই বা আসবে! তবে নিশ্চয়ই বিনোদ আজ থ্যাটারে যায়নি। বিনোদের কাছে লোক আসা মানেই বিখ্যাত কেউ। যাঁরা দু-ঘোড়ার, একশত ঘন্টা লাগানো গাড়ি চেপে আসবে। যাদের চক্ষের সামনে দেখাটাও ভাগ্যের কথা। বিনোদের কল্যাণে এ পাড়ায় খেটে খাওয়া খদ্দের আসেনা আর, যারাই আসেন সকলেই বাবু।
এ পল্লীতে অন্য বেশ্যাদের তুলনায় কালীমতিরই অবস্থা খারাপ। কালীর রূপ তেমন নয়। একটু মোটার দিকে, কালো, বেঁটে বেঁটে ধরনের। থাকার মধ্যে এক মাথা চুল আর গানের মিঠে গলা। কালীর মেয়েদুটোও ডানাকাটা পরী কিছু হয়নি। তবে ছোটটার চেহারায় আলগা লাবণ্য আছে, রঙটা পরিস্কার। কালীমতির ধারণা দত্ত বাবুর মেয়ে ছোটটা। সোনার বেনেদের রঙ খুব খোলতাই হয়।
জুড়িগাড়ির দরজা খোলার আওয়াজ পায় কালীমতি, সঙ্গে চিনে জুতোর মচমচ। বিনোদের বাড়িতে কে এলো দেখার জন্য মন ছটফট করে, উপায় থাকলে তো! গন্ধমাদনের মতো দেহখানা নিয়ে চন্দ্রবদন বসাক পড়ে রয়েছে কালীমতির বিছানায়। নালে ঝোলে,নাসিকা গর্জনে মনে হবে লোকটি গভীর ঘুমে অথচ কালীমতি নড়লেই বাঁজখাই গলায় চিৎকার করবে
‘কোথা যাও, কোথা যাও কালী কপালিনী, দুদিনের পয়সা দে নিয়েচি কিনি”
কালী মিঠে স্বরে জবাব দেবে “জানি গো জানি।”
দু তিন দিনের টানা খদ্দের এলে মেয়ে দুটোকে সিন্ধু বেশ্যার বাড়ি রেখে আসে কালীমতি। এই জন্য ভাতারখাগি সিন্ধু বেশ্যা গুনে গুনে পয়সা নেয়। একা কালীমতির সন্তান নয়, খদ্দের এলে পাড়ার অনেকের বাচ্ছাই জমা রাখে বুড়ি। বিশেষত যাদের ঘর তেমন বেশি নেই। তাই গতর গেছে তবু রোজগার বন্ধ হয়নি বেবুশ্যে ঘাটের মড়া বুড়ির, ভালো বুদ্ধি। কলকেতা শহরে বুদ্ধি থাকলে কেউ না খেয়ে মরে না, সিন্ধু বুড়ি তার প্রমাণ। কত পয়সা উড়ছে এই শহরে। বেড়ালের বে দিয়েই লাখ টাকা ওড়াচ্ছে বাবুরা, টাকা খালি ধরার অপেক্ষা। কালীমতির মনটা চিনচিন করে, অতোগুলো করে টাকা নিলে সিন্ধু, কাল থেকে মেয়েগুলোকে কি খেতে দিলে কে জানে। গিয়ে যে দেখে আসবে উপায় নেই। মোটা টাকা নিয়ে বসে আছে চন্দ্রবদনের থেকে।
বিনোদ, রাধামণি, সুশীলা এরা আরও কয়েকখানা ঘর করে নিয়েছে। দোতলাও তুলেছে। কালীমতির এই একটাই ঘর, কলঘর, বারান্দা আর রান্না ঘর। খদ্দের এলে মেয়ে দুটোকে রাখবেই বা কোথায়। কালীর খুব ইচ্ছে তিনতলা বাড়ি তোলে। নীচ তলায় গঙ্গা বাঈয়ের মতো মজলিসের আসর বসাবে, দো তলায় নিজে থাকবে আর তিন তলায় থাকবে ঠাকুর আর টাকা গয়নার সিন্দুক। এসব বাঁধা বাবু ছাড়া হয়না। কালীর সবই খুচরো খদ্দের। মেয়ে দুটোর মুখ চেয়ে বসে আছে কালীমতি। দুটো বলতে ছোটটাই মূলত। বড় নেত্যকালীর যা ছিরি ওর দ্বারা বেশি রোজগার হবেনা। ছোটটা কবে একটু ডাগর হবে সেই আশায় বসে থাকা। কালীমতি স্বপ্ন দ্যাখে ওর ছোট মেয়ের কাছেও একশ ঘন্টা লাগানো জুড়িগাড়িতে চেপে খদ্দের আসবে বিনোদের মতো। ঠাকুরকে রোজ ডাকে মা শীতলা মেয়েটাকে থ্যাটারে ভর্তি করে দাও মা, থ্যাটার থেকে বাবু ধরা কত সহজ। ওদের মতো হাঁ পিত্তেশ করে বসে থাকতে হয়না। কালী নিজেও থ্যাটারে গেছিলো, তা ওখেনে গিয়ে পাট পেলে না। ঝাঁট দেওয়ার কাজ পেলে। একবার কেউ ওর গানের গলাখানা অব্দি শুনলে না। কালী অপমানে আর ও পথ মাড়ায়নি। তবে সেখেনে গিয়ে কিচু ছুটকো বাবু পেয়েছে, এই যেমন চন্দ্রবদন বসাক।
আজ বিনোদের কাছে জুড়িগাড়িতে বেশ বড়লোক কেউ এসেছে। গাড়ি ঘরের পাশ যখন গেলো দামী এসেন্সের সুবাশ পেয়েছে কালী। আর কৌতূহল চেপে রাখতে পারেনা, একবার দেখে এলে হতো। কালী গুনগুন করে বলে
-চন্দরবাবু আজ গঙা চান হয়নি, আপনি ঘুমুতে ঘুমুতে চট করে ডুব দে আসব?
চন্দ্রবদন চোখ বন্ধ করেই উত্তর দেয়
-পয়সা উসুল হতে এখুনো সাড়ে তিন ঘন্টা বাকি, তারপর যেও, তারপর ডুব দিয়ে ফিরে আসতেও পারো আবার সখাত সলীলে ডুবেও মরতে পারো।
চন্দ্রবদন নিজের রসিকতায় নিজেই হাসে। বাধ্য হয়ে কালীমতিও হাসে একবর্ণ না বুঝে। তারপর চন্দ্রবদনেরর ঘেমো গায়ে সুড়সুড়ি দিতে থাকে। মানুষের গা না মোষের গা বোঝা মুস্কিল। রঙটাই যা সাদা। হাতির সাজের বহর আছে খুব! সিল্কের চোগা, চাপকান, পাকানো চাদর, রেশমের পাঞ্জাবি। এতো কিছু করিস গায়ে ইত্তর দিতে পারিসনে। বিটকেল গন্ধ। চন্দ্রবদন কালীমতির কোঁচকান নাক দেখে জিজ্ঞেস করে
-কি হলো।
কালী তাড়াতাড়ি বলে
-কে গেল, কি বাজে ইত্তরের গন্ধ। আপনার থেকে এরা শিকতে পারে তো, গায়ে এসেন্স লাগান না তাও পদ্মগন্ধ ভুরভুর করতেছে।
চন্দ্রবদন খুশি হয়ে বলে
-ওরে আমার মোতিবিবিরে তোর হাসিখানা যা নারে, থ্যাটার খুললে তোকে পাটে নেব।
কালীমতি মনে মনে ভাবে আর তুমি থ্যাটার খুলেচ। মুখে বলে
-সেই অপেক্ষাতেই তো আচি চন্দর বাবু, কবে খুলবেন?”
চন্দ্রবদন কালীমতির কোলে আয়েস করে মাথা রেখে শোয়। তারপর বলে
-জমি টমি দেকা হয়ে গেচে, একদিন গিরিশ ঘোষের সঙ্গে যাবো কতা কইতে। মোতিবিবি পিঠের ডান দিকটা একটু চুলকে দাও তো
কালীমতি গত চার বছর ধরে একই কতা শুনছে, খুব বুঝেছে এ ব্যাটার থ্যাটার আর জম্মে খুলবে না। তবু পিঠ চুলকতে চুলকতে বলে
– গিরিশ ঘোষকে নেবেন আর বিনোদ কে নেবেন নে?
– না, ও মাগীর খুব দ্যামাক। নতুন মেয়ে তৈরী করে নেব, তুই তো আচিসই।
কালীমতি ডানদিকে বুকের কাপড় বেশ খানিকটা সরিয়ে বলে
– হ্যাঁ তা তো বটেই। আপনার একটা বিনোদ বানাতে আর কি কষ্ট। আমার কিন্তু ও মাসে ফুল কাটা কাটা টিগলি চাই, নয়তো থ্যাটারে কি পরে যাবো!
– পাবি, পাবি মোতিবিবি।
কালীমতি আর একটু নেকিয়ে বলে ওঠে
– আর একটা পমেটম দেবেন মেকে ফর্সা হই একটু থ্যাটার শুরুর আগে, দুটো জরি পেড়ে শান্তিপুরি শাড়িও চাই কিন্তু। সব থ্যাটার খোলার আগেই চাই।
কালীমতির কথার মাঝেই খঞ্জনি বেজে ওঠে, মিঠে স্বরে কোনও বোষ্টমী গান ধরেচে। চন্দ্রবদন কালীমতিকে বলে
– ডেকে নে আয় তো, ওর সঙ্গে কথা আচে।
কালীমতি ভাবে খানিক বোষ্টমীর সঙ্গে সময় কাটালে এই সাদা মোষের হাত থেকে ও একটু জিরেন পায়। তাড়াতাড়ি গিয়ে বোষ্টমীকে ডাক দেয়।
বোষ্টমী দুয়ারে দাঁড়ালে চন্দ্রবদন ঘরে ডাকে। বোষ্টমী ভয় পায়। কখন মাধুকরী করতে করতে এ পাড়ায় ঢুকে পড়েছে বুঝতে পারেনি। শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বোষ্টমী ঘরে যায় না। অগত্যা চন্দ্রবদন বিপুল দেহ নিয়ে দোরে দাঁড়ায় এসে। তারপর জানতে চায়
– তোমার আখড়া কোতায়? এজরা স্ট্রিটের দিকে?
বোষ্টমী ভয়ে ভয়ে উত্তর দেয়
-কুটিঘাটের কাচে।
-আখড়ায় তোমার ঠাকুমা বা দিদিমা কেউ আচে? কিম্বা সত্তর আশির কোনও বুড়ি?
– আমার দিদমার মাও এখুনো আচেন।
এবার চন্দ্রবদন উৎসাহী হয়ে ওঠে।
– তা সেই বুড়ি গোলকনাথ দাসের নাম বলেচে কখনও? বুড়ি তার মা দিদিমার থেকে শুনেচে গোলকনাথের কতা?
– সে কে! আমি কেবল কৃষ্ণের নাম জানি।
– আচ্ছা আচ্ছা কেষ্ট ফেস্ট ছাড়, লেবেদাফ সাহেবের নাম বলেচে বুড়ি, শুনেছিস তুই?
– সে কি কোনও লাট সাহেব!
– না, একটা রাশান সাহেব, একশ বছর আগে নুনের ব্যবসা করতে এ দেশে এয়েছিলো। সাহেব বাঙালা মুল্লুক, বাংলা ভাষার প্রেমে পড়ে যায়। তাই ঠিক করে বাংলায় থ্যাটার করবে, এই আমার মতো।
কথাগুলো বলে চন্দ্রবদন খানিক থামে। মেয়েগুলোর মুখের অভিব্যক্তির পরিবর্তন না দেখে আবার শুরু করে
– তা লেবেদেফ সাহেবই প্রথম এ দেশে বাংলায় থ্যাটার চালু করে বুঝলি।আবার পত্থম মেয়েছেলে নিয়েও থ্যাটার করেছিলো।
বোষ্টমী আর কালীমতি দুজনেই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। চন্দ্রবদনের এসব কথার মানে বিন্দু বিসর্গও বোঝেনা। সাহেব আবার বাংলায় থ্যাটার করেছিলো! চন্দ্রবদন বলে যায়
– গোলকনাথ দাস নাকী সাহেবকে বই বাংলায় লিখতে সাহায্য করেছিলে। কাল্পনিক সংবদল, ডিসগাইস বলে একটা ইংরাজি বইকে বাংলা করেছিলো দুজনে। আরও একটা ছিলো ‘লাভ ইস দি ফাস্ট ডক্টর’ ওটাও বাংলা করেছিলে। আমি থ্যাটার খুললে ওই বই দুটোই নামাবো প্রথমে বুঝলি।
এতো কথা বলে হাঁপিয়ে যায় চন্দ্রবদন, কালীমতি জল এনে দিলে আবার শুরু করে
– তা ওই গোলকই প্রথম অভিনয়ের জন্য মেয়েছেলে খুঁজে এনে দেয় সাহেবকে। কেউ বলে অভিনেত্রীরা বোষ্টমী ছিল, কেউ বলে বেশ্যাদের দিয়ে পাট করিয়েছিলো সাহেব। এজরা স্ট্রিটে হয়েছিল সে থ্যাটার। আমি ডোমতল্লা মানে এজরা স্ট্রিটের বেবুশ্যে পল্লিতে খোঁজ করিচি, কেউ চিনতে পারেনি সাহেবকে।
এবার কালীমতি আর বেষ্টমী দুজনেই অবাক হয় কালী বলে
– যদি চেনে তো কি হবে?
-ওই বংশের মেয়েছেলে আমার থ্যাটারে নেব, রক্তে থ্যাটার ওদের। তোর ওই দেমাকি বিনোদকে টেক্কা দেবে। জানিস সাহেবের থ্যাটার নিয়ে বিরাট বড় সংগ্রাম তোদের শোনাব একদিন। কিন্তু তার আগে তুই খোঁজ নিস বাড়িতে সাহেবের বা গোলকনাথের সঙে কেউ কাজ করেছে কিনা। এখন বরং বোষ্টমী একটা প্রেম পীরিতের গান ধর, খালি কেষ্ট কেষ্ট করে নয়, একটু রসের গান।
বোষ্টমী এ পাড়ায় ভুল করে ঢুকেছিল, বেরোতে পারলে বাঁচে। কোনও তর্ক না বাড়িয়ে ‘পিরীতি পিরীতি গুণনিধি’ বলে গানখানি মিঠে গলায় ধরে।
গানের মাঝেই সিন্ধুবেশ্যা হাঁপাতে হাঁপাতে হাজির হয়
– ও কালীমতি, কালীরে তোর ছোট মেয়ে তারাকে কোত্থাও পাচ্ছিনে!
এমনি লেখার বাঁধুনি এক নিঃশ্বাসে পড়িয়ে নিলে গো পুরোটা –পেন্নাম নীলা ঠাকরুণ ।
পড়তে পড়তে সেই সময়ে চলে গেল মন । দুর্দান্ত সংলাপ , সময় ও আবহ অনুযায়ী মুখের ভাষা প্রক্ষেপণ ।
মুগ্ধ। কি মুন্সিয়ানা লেখার!
পরের পর্বের জন্যে হাপিত্যেশ অপিক্ষে রইল।
অনবদ্য লেখনী। সে সময় এর কলকাতার গন্ধটা একদম ফুটে উটল লেখায়।
দারুণ লাগছে পড়ে
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এযাবতকালে এত সরস, তথ্যকর অথচ সাবলীল লেখা পড়িনি।
অসাধারণ! এতো সুন্দর একটি লেখা পড়ে নিজেই ধন্য হলাম…
পড়তে পড়তে কখন যে শেষ হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। আরো বেশী হলে ভালো লাগতো।
বেশ ভালো লাগলো… পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম… 👌❤️
বাহ দারুণ হয়েছে, পুরনো দিনের গল্প পড়তে বরাবরই ভালো লাগে। স্টাইলটাও সুন্দর।
এক অসাধ্য সাধন হতে চলেছে আপনার এই লেখায়।আজকের এই বেনিয়া কোম্পানি থেটারে চন্দবদন আর কালীমতির মতো মানুষের অভাব নেই। সুখ দুঃখের মাঝে থেটার থেকে বাবু ধরার খিদে পুষিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা চলতেই থাকবে।
এজরা স্ট্রিটের তরজা বোধকরি ধীরে ধীরে খুলবে শাড়ির ভাঁজের মতন।খুলুক, আমরা এই লেখা পাঠ করে ঋদ্ধ হই, আগামী ধারাবাহিকের খোঁজে মুখিয়ে থাকি !
নমস্কার।
অসাধারণ !
এতো প্রাঞ্জল,মুন্সীয়ানা তোমার লেখায়।চোখের সামনে পুরোণ কলকাতা ফুটে উঠছে।
চলুক,চলুক.
দারুণ লাগছে। অপেক্ষা করছি পরের পর্বের। পুরোনো যুগটা, বই পড়ে সিনেমা দেখে আবছা জানা চরিত্র গুলো একদম জীবন্ত হয়ে উঠেছে তোমার কলমে। এমন জায়গায় শেষ করলে যে ধৈর্য রাখা দায়।
শুরু করলাম আজ। চমৎকার!