কত রঙ্গ দেখি কলকেতায় – পর্ব ৩ – নীলা বন্দ্যোপাধ্যায়

আগে যা ঘটেছিল

বেশ্যাপাড়ার কালীমতির ছোট মেয়ে তারা হঠাৎই নিখোঁজ। বিনোদিনীর বাড়ির পিছনে ছোট ডোবায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। কিভাবে ওই একরত্তি মেয়ে জলে পড়ে গেলো, নাকি বেশ্যাপাড়ার বেজন্মা ছেলের দল ঠেলে ফেলে দিয়েছিল জলে ভেবে পায়না বিনোদিনী…

কালীমতির মেয়ে হারিয়ে গেছে তবু বাবু চন্দ্রবদন বেশ্যা কালীমতিকে দেওয়া পয়সা পুরো উসুল না করে তাকে ছাড়তে রাজি নয়। এদিকে বিনোদিনী ব্যস্ত ছিলো তার কাছে আসা অভিজাত বাবুটির সঙ্গে সাহিত্য চর্চায়। এমন সময় কালীমতি বিনোদিনীর বাড়ি হাজির হয়। বিনোদিনীর নাম হওয়ার পর থেকে সে বাড়িতে অবাধে প্রবেশ করা না গেলেও এককালে এ বাড়িতে ভাড়া থেকেছে কালী। সে জোরে এসে মেয়ের খোঁজ করে। হঠাৎ দেখা যায় বিনোদিনীর বাড়ির পাশের ডোবাতে কালীমতির মেয়ে তারা হাবুডুবু খাচ্ছে। সেকি পড়েই গেলো না, কেউ সর্বনাশ করে তাকে ফেলে দিলে জানেনা কালী।

এরপর

কত রঙ্গ দেখি কলকেতায় – ৩

একই সময়ে, একই সঙ্গে জগৎ সংসারে কতরকম ঘটনা ঘটে চলে। জন্ম, মৃত্যু, প্রেম, প্রতিবাদ, আনন্দ, দুঃখ। যার চোখের সামনে যে ঘটনা যেমন রূপ নিয়ে ঘটে, তার কাছে সেই মুহূর্তটুকু তেমন রূপেই স্থায়ী হয়ে থাকে আজীবন। ১৮৮২ সালের কোনও একটি দুপুরে খুব কাছাকাছি বয়ে চলা নানা বিচিত্র দৃশ্য নিয়ে সেজে উঠছিলো কলকেতা। আপাত দৃষ্টিতে সেসব দৃশ্যগুলি এতো ভিন্ন যে মনে হয় পাশাপাশি আঁকা সমান্তরাল রেখার মতো। কখনও কোনও দিন যা মিলবে না। কিন্তু তুলির টানটুকু আমরা দিলেও হাতটি যিনি ধরে থাকেন তিনি জানেন সমস্ত রেখার শুরু বিন্দু থেকে। বিন্দুতে বিন্দুতে মিলে যাওয়া সম্ভব। বিন্দুতে বিন্দুতে মিলে যায়।

যার একটি বিন্দু ভেসে উঠেছিলো একশ পঁয়তাল্লিশ নম্বর কর্নওয়ালিশ স্ট্রিটের বাগানের পেছনে ডোবা থেকে। কিন্তু সে আর কে বুঝেছিলো তখন। কেবল ভেবেছিলো পাঁচ বছরের একরত্তি মেয়েটাকে জল থেকে তুলে আনা হবে কী করে, কেমন করে ও মেয়ে জলে গেলো, নিজেই পড়লে নাকি কেউ সব্বনাশ করে জলে ফেলে দিলে। সেদিন জল থেকে তুলে আনা একরত্তি মেয়েটার দেহকে ঘিরে আছাড়ি পিছাড়ি করে কাঁদছিলো তার মা কালীমতি।

“এ আমার কি সব্বনাশ হলো গো, আমার মেয়েটাকে ঘিরে যে অনেক স্বপন দেকেছিনু গো, মেয়েটা কি আর বাঁচবে গো, পেরানখানা এখনো তো ধুকপুক করচে, কেউ কিচু করতে পারো কিনা একবার দ্যাকোনা গো। কে এমন সব্বনাশ করলে গো” —

এই ঘটনা যাদের চোখের সামনে ঘটেছিলো তার মধ্যে সে সময়ের কলকেতা শহরের অন্যতম আকর্ষণ বিনোদিনী দাসীও ছিলো। বিনোদিনী একরত্তি মেয়েটার বিপদ দেখে ভুলে গেলো এক অসামান্য প্রেমপ্রার্থী তার ঘরে তার জন্য অপেক্ষা করছে। যে খানিক আগেই বলেছে কেবলমাত্র বিনোদিনীর জন্য সে জগৎ-সংসার, সম্পদ, আভিজাত্য, বংশ গরিমা সব বিসর্জন দিতে রাজি। জল থেকে তুলে আনা মেয়েটির মধ্যে বছর পনেরোর আগের নিজেকেই দেখতে পেলো যেন বিনোদ। খুব নিচু হয়ে ঝুঁকে এলো মেয়েটার কাছে। চোখ বুলিয়ে আতিপাতি খুঁজলো লোভের চিহ্ন। দেখলো কিচ্ছু নেই, কেবল নেতিয়ে আছে সেই মেয়ে। তারপর বললে —

” ওকে কেউ কিচু করেনি কালীদিদি, পুকুরে পড়ে গিয়ে পেটে জল ঢুকে গেচে। পেটে চাপ দে যদি জল না বেরোয় তবে ডাক্তারের কাচে নিয়ে যেতে হবে “।

একথা শুনে কালী আশ্বস্ত হয় কিনা বোঝা যায়না তবে দ্বিগুণ বেগে বিলাপ করে কাঁদতে থাকে — ” ডাকদার কোতায় পাবো গো, গরীবের মেয়েকে, বেবুশ্যের মেয়েকে যে সাহেব ডাকদাররা দেখবেও না গো।”

বিনোদিনী কালীর কথায় সময় নষ্ট হবে বুঝে নিচু হয়ে বছর পাঁচেকের তারার পেটে চাপ দিতেই হড়হড় করে জল বেরিয়ে এলো। ছোট মেয়েটি চোখ খুলে খানিক ফ্যাল ফ্যাল করে বিনোদিনীর দিকে চেয়ে থেকে শ্রান্তিতে চোখ বুজে ফেলে। কালীমতি উচ্চগ্রামে ধন্যবাদ দিতে থাকে বিনোদিনীকে — ” তুই তো কেবল থ্যাটারে নাম করিসনি, তুই তো কেবল বড়নোক হসনি, তুই তো দেবী হয়ে গেচিস রে বিনি।”

হঠাৎই কালীমতির উচ্চস্বর ছাপিয়ে বিনোদিনী শুনতে পায় জুড়িগাড়ি চলে যাওয়ার শব্দ। সেই শব্দে ছুটে বাগানের সামনে দিকে গিয়ে দেখে এতোক্ষণ দরজার বাইরে অপেক্ষামান জুড়িগাড়িখানা ক্রমশ মিলিয়ে যাচ্ছে তার চোখের সামনে থেকে। বিনোদিনীর মন হুহু করে ওঠে। একি হলো! এইসব হৈ হৈ সে ভুলেই গেছিলো বাবুটি ঘরে বসে আছেন। নিশ্চয়ই অবহেলায়, অমর্যাদায়, এই অমার্জিত পরিবেশে বাবুটি বিরক্ত হয়ে চলে গেলেন! বিনোদিনী তার স্বোপার্জিত মান সম্মান ভুলে জুড়িগাড়ির পেছনে ছুটে যায়। লাভ হয়না, সে গাড়ি ক্রমশ বিনোদের নাগালের বাইরে চলে যায়। আজীবন বিনোদ যা কিছু আঁকড়ে ধরতে গেছে সমস্তটাই এমন ভাবে তার নাগালের বাইরে চলে গেছে।

শ্রান্ত বিনোদিনী ঘরের দিকে ফিরে এলে দেখে তখনও কালীমতি তার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। প্রচন্ড বিরক্তিতে ঘাড় ধরে বের করে দিতে ইচ্ছে হয় বিনোদিনীর। হঠাৎ দেখে কালীমতির পেছন থেকে মুখ বের করে অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে চেয়ে আছে জলে পড়া মেয়েটি। বিনোদ বলে — “ওকে বাড়ি নিয়ে যাও, ভিজে আচে, ঠান্ডা লেগে যাবে। আর একদিন আমি বাড়ি থাকলে আমার কাচে নিয়ে এসো।”

কালীমতি এ প্রস্তাব আনন্দের আতিশয্যে আরও কিছু কথা বলতে যায় বিনোদিনীকে। বিনোদিনী কিছু না শুনে ঢুকে গিয়ে সদরে খিল আঁটে।

কালীমতি যত অপরিশীলিতই হোক, বেহায়া হোক তবু তার মানে লাগে। বলে —
“দ্যাখ যদি থ্যাটার না করিস তবে এদের গুমোর ভাঙতে পারবিনে। মনে থাকে যেন থ্যাটার তোর করতেই হবে।”

তারপর মনে পড়ে মেয়ের থেকে জানা হয়নি জলে কিভাবে পড়লো। মেয়েকে জিজ্ঞেস করায় কালীর কথার পুনরাবৃত্তি করে মেয়েটি — ” থ্যাটার তোকে করতেই হবে। হ্যাঁ মা থ্যাটার করবোই তো, তবেই তো অমন ঘোড়ার গাড়িতে চাপতে পাবো, নারে মা ? ঘোড়ার গাড়িখানা কোতা গেলো তুই জানিস মা?”

ছোট্ট তারার চোখেও যেমন জুড়িগাড়ির ঘোর লেগেছিলো তেমনই বিনোদিনী ঘরে ফিরে মিলিয়ে যাওয়া জুড়িগাড়িখানাই দেখছিলো চোখ বুজলে। কিন্তু অন্যদিন চোখ বুজলে সে স্বপ্ন দেখে। দেখে তার নামে একখানা থিয়েটার বাড়ি হচ্ছে। বিনোদিনী থিয়েটার। আজ আর সে স্বপ্ন আসছে না চোখে। বদলে তপ্ত অশ্রু গড়িয়ে নামছে ঠোঁটের কাছে। ফুঁপিয়ে ফুলে ফুলে কাঁদতে থাকা বিনোদিনী হঠাৎ বন্ধ চোখেই শুনতে পায় জুড়িগাড়ির শব্দ। তবে কি তিনি ফিরে এলেন!

বিনোদিনী ছুটে গিয়ে দরজা খোলে। দরজা খুলে সামনে দেখে অন্য এক যুবা সুপুরুষকে, সেও বিনোদের প্রেমপ্রার্থী। বিনোদ জানে তাদের জীবনে স্বপ্নের পুরুষেরা স্থায়ী হয়না। কিন্তু স্বপ্নপূরণের উপায় হয়ে অনেক পুরুষই আসে। যাদের স্বপ্ন দেখাই বারণ তারা নিজের স্বপ্ন পূরণে বেপরোয়া হবে এ আর আশ্চর্য কী! বিনোদ তাই কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা দেখলে তাকে ফেরায় না। মিলিয়ে যাওয়া জুড়িগাড়িখানা মনের ভিতর রেখেও বিনোদ স্বাগত জানায় বেনিয়া গণেশ দাস মুসুদ্দির পুত্র, গুর্মুখ রায়কে। এই ভালো হলো। এ লোকটার বুক বাজিয়ে বলার সাহস আছে সে বিনোদকে ভালোবাসে। আর যার জন্য বিনোদিনীর হৃদয় আকুলিবিকুলি করে তিনি যে বড়ই অভিজাত। তাকে ভালোও বাসতে হয় নিখুঁত হয়ে। এ সমাজের কেউকেটা যে তিনি।

সেদিন সেই গাড়ি একশো পঁয়তাল্লিশ নম্বর কর্নওয়ালিশ থেকে তেরো নম্বর কর্নওয়ালিশ স্ট্রিটে যায়। এই তেরো নম্বর বাড়িতে ব্রাহ্ম সমাজের এতো কেউকেটার যাতায়াত আর বাস যে একশ পঁয়তাল্লিশ নম্বর থেকে ঠিক কোন গাড়িখানার মালিক ভগ্ন হৃদয়ে ফিরলেন তা বলা মুস্কিল। দশ মিনিটে তিনখানা জুড়িগাড়ি ঢুকেছে সেদিন। তারই মধ্যে একটি গাড়ি সদর দরজার সামনে হঠাৎই থেমে যায়। কারণ সদর জুড়ে চোখে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো উনচল্লিশের এক প্রৌঢ় আর একুশের এক যুবতী। কি করে সদরের সামনে থেকে তাদের সরে যেতে বলবে সে উপায় না দেখে অগত্যা জুড়িগাড়ির ভেতর থেকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন কেউ।

“মেডিকেল কালেজ সম্মত হলো, তারা কিছু জানালে আপনার পড়ার ব্যাপারে!”

যুবতির চোখের ঘোর ভাঙে, তাড়াতাড়ি সরে দাঁড়ায় সে। কে প্রশ্ন করে জুড়িগাড়ির থেকে ভালো বুঝতে না পেরেও উত্তর করে কাদম্বিনী। এসব ব্যাপারে কোনও কালেই তার জড়তা নেই।

“এখনও উত্তর দেয় নাই। আমি পত্তর লিখসি কড়া কইরা”

বাবুটি তার ঢেউ খেলানো চুল আর স্বপ্নালু চোখ নিয়ে গাড়ি থেকে উঁকি মারেন। আরে এ যে স্বয়ং বাবু জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর!

“দেখুন কী জবাব দেয় মেডিকেল কালেজ থেকে মিস বোস। দ্বারকাবাবু যখন আপনাদের সঙ্গে আছেন… ”

উনচল্লিশের প্রৌঢ় কথা শেষ করতে দেয়না।

“বলে ওঠে আর কয়েকদিন পরে মিস বোসকে আপনারা মিসেস কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় বলে ডাকতে পারবেন। আমরা সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছি”

জুড়িগাড়ির থেকে নেমে দীর্ঘদেহী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ জড়িয়ে ধরেন নারী হিতৈষী দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে।

কাদম্বিনী আশ্বস্ত হয়, যাক কেউ তো এ সংবাদে খুশি হলো। কাদম্বিনী জীবনের যে সমস্ত সিদ্ধান্ত তার অধিকাংশের বিরোধিতা করেছে এই সমাজ-সংসার। এ সিদ্ধান্তও খুব ভালো ভাবে মেনে নেবেনা কেউ। আবারও সামনে কঠিন লড়াই। তবু কাদম্বিনীকে সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে এগোতে হবে। এতে কেবল তার নিজের হিত নয় বাংলার মেয়েদের হিত হবে বলে তার বিশ্বাস।মাস্টারমশাই দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ও তেমনটাই বোঝান কাদম্বিনীকে। প্রায়শই বলেন —

“মেয়েরা আর কতদিন গৃহপালিত হয়ে জীবন কাটাবে। আখেরে তারা তো গরু ছাগল নয়, মানুষ। একমাত্র প্রাণীকুল যারা স্বপ্ন পূরণের জন্য মরিয়া হতে পারে। ”

কাদম্বিনী প্রথম বাঙালি মেয়ে হিসেবে বি.এ পাস যখন করতে পেরেছে, যত বাধাই আসুক ডাক্তারিও সে পড়বেই। আর তার এগিয়ে যাওয়ার পথে সবচেয়ে বড় যে সহায়, তাকে ছেড়ে কাদম্বিনী চলবে কি করে! স্বপ্নের কাছে যে জাত, ধর্ম, বয়স, সমাজ কিছুই বড় নয়। দ্বারকানাথ আর সে বিবাহের সিদ্ধান্ত কিছুক্ষণ আগেই নিয়েছে। সমস্ত রকম বাঁধার কথা জেনেই নিয়েছে। দ্বারকানাথ খবরটি প্রথম যাঁকে দিলেন তাঁর এই অবাধ সমর্থন কাদম্বিনীকে আরও দৃঢ় করলো। এতে কোনও ভুল নেই বিধাতা সেদিন তৃতীয় বিন্দুখানিকে কাদম্বিনী নাম দিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলো অবলা ব্যারাকের সম্মুখে।

এ পৃথিবীতে মেয়েমানুষেরা কেবল দিয়েই যায়। পুরুষের মতো দাপিয়ে বেড়ানোর ইচ্ছে কজন রাখে। বিনোদিনী, কাদম্বিনী এরা সে ইচ্ছেকে লালন করছে মনে কবে থেকে। তাই এই ইচ্ছে দিয়ে বিন্দুসম বিনোদিনী আর কাদম্বিনীকে জুড়ে ফেলা যায় অনায়াসে।

এখেনেই শেষ নয় ১৮৮২-র সে দুপুরে গোটা কলকেতা জুড়ে বিন্দু এঁকেই চলেছিলেন সেই অদৃশ্য শক্তি। যেমন চার নম্বর বিন্দুখানা আবার এক বেবুশ্যে পল্লিতেই আঁকলেন। তবে তা আর কর্নওয়ালিশ স্ট্রিটে নয়, রামবাগানের গলিতে। সে গলিতে একটি বছর পাঁচেকের মেয়ে বেহারিদের ঢোলের সঙ্গে আপন মনে নেচেই যাচ্ছিলো। সকলে তাকে আমোদু স্বরে বলছিলো ” নাচ কুসুম, নাচ”। সে মেয়ের গলায় সুর নেই তেমন, কিন্তু অসম্ভব ক্ষিপ্রতায় সে নৃত্য করতে পারে। বেবুশ্যে পাড়ার বাচ্ছা মেয়েরা নাচ, গানের ক্ষমতা নিয়ে জন্মালে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা কম থাকে। এ মেয়ের ভবিতব্যে কি আছে কে জানে!

ক্রমশ…

14 thoughts on “কত রঙ্গ দেখি কলকেতায় – পর্ব ৩ – নীলা বন্দ্যোপাধ্যায়

  1. খুব ভালো লাগছে পড়তে। এত জীবন্ত দৃশ্যপট!

  2. কাহিনি এগোচ্ছে নদীর মতো ফুল্ল অবাধ গতিতে। পরের কিস্তির প্রতীক্ষা রইল।

  3. অনেকদিন বাদে আবার কোনো লেখায় সেই সময়ের কলকেতা পরতে পরতে উন্মুক্ত হচ্ছে।
    খুব ভালো ধারাবাহিক।

  4. অনেকদিন পরে আবার কোনো লেখায় সেইসময়ের কলকেতা পরতে পরতে উন্মুক্ত হচ্ছে।
    খুব ভালো ধারাবাহিক ।

  5. মুগ্ধ হয়ে পড়লাম….পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

    1. চলুক চলুক। ইতিহাসকে এমন ফিকশানের আকারে রূপ দেওয়া সহজ কাজ নয়।

    2. বড় পছন্দসই হচ্ছে লেখাটি। অনেকদিন পরে ধারাবাহিক পড়ে মন ভরে উঠছে। অপেক্ষা রইল পরের কিস্তির।

  6. কি অসাধারণ লেখা.. যেন সেই প্রেক্ষাপটের ছবি আঁকা..

  7. ঝরঝরে লেখা তরতরিয়ে এগোচ্ছে।দারুণ!

Comments are closed.