গত ৩ জুলাই ২০২২ , রবিবার অমল আলোয় অনুষ্ঠিত হইয়া গেলো এক জমজমাট নাট্যসন্ধ্যা। প্রতি মাসে নিয়মিত প্রতি রবিবারের অভিনয়। ‛অমল আলোয় নিয়মিত নাট্যোৎসব’ ইতিমধ্যেই ষষ্ঠ সপ্তাহে পদার্পন করিয়াছে । এই সপ্তাহের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে নাট্যাভিনয়ের পাশাপাশি ছিল আলোচনাসভা আর গল্পপাঠের আসর। এই আসরে উপস্থিত ছিলেন থিয়েটার গবেষক এবং সমালোচক মলয় রক্ষিত। তিনি উপস্থাপন করিয়াছেন ‛নভেন্দু সেন স্মারক বক্তৃতা’। বিষয় ‛নাট্য গবেষণা: সমস্যা ও সম্ভাবনা’। শুরুতে সুন্দর সাবলীল মুখবন্ধ করিয়া দেন ভাবনা থিয়েটার পত্রিকার সম্পাদক অভীক ভট্টাচার্য। সভার সূত্র ধরিয়া দ্যান অশোকনগর নাট্যমুখ এর পরিচালক অভি চক্রবর্তী। তিনি জানান এর আগে এই স্মারক বক্তৃতা দিয়াছেন বিশিষ্ট নাট্যজনেরা। আগামী সংখ্যায় স্মারক বক্তৃতাটি পূর্ণ রূপে প্রকাশিত হইবে।
ইহার পর গল্পপাঠ করিয়াছেন লেখক শমীক ঘোষ মহাশয়। দর্শকাশনে উপস্থিত একঝাঁক উৎসুক শ্রোতাগণ। গল্পপাঠের আসর শেষ হইতেই মঞ্চস্থ হয় অশোকনগর নাট্যমুখ প্রযোজিত নাট্য ‛গান্ধারী’। মহাভারতের কাহিনী অবলম্বনে এ নাটক লিখিয়াছেন শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ এবং নির্দেশনা দিয়াছেন প্রখ্যাত থিয়েটার ব্যক্তিত্ব শ্রী সত্যব্রত রাউত। গান্ধারীর ভূমিকায় সংগীতা চক্রবর্তী বিহ্বল করিয়া দ্যান দর্শকবৃন্দকে। এ নাট্যের সময়সীমা আনুমানিক ৫০ মিনিট। সঙ্গে কোরাস টিমের যোগ্য সংগতের কথাও বলাবাহুল্য উল্লেখযোগ্য। এদিন এই নাট্য ৩৪ রজনী অতিক্রম করিল।
অমল আলোয় নিয়মিত থিয়েটার উৎসবের পরের সপ্তাহে অর্থাৎ ১০ জুলাই অভিনয় করিতে আসিবে টেন্থ প্ল্যানেট প্রযোজিত ‛বীজ: A Reconstruction’। মূল নাটক বাদল সরকার কতৃক রচিত, পরিমার্জনা ও নির্দেশনা শরণ্য দে। ওইদিন আরো একখানি নাটক উপস্থাপিত হইবে এই মঞ্চে। ব্রাত্য সারথি প্রযোজিত ঠগিনী, নাটক ও নির্দেশনা দিয়াছেন অশোক দে।
দক্ষিণেশ্বর শৌভিক সাংস্কৃতিক চক্র বাংলা থিয়েটারে লম্বা রেসের পথ অতিক্রম করিয়াছে। এবৎসর পঞ্চাশে পদার্পণ করিল। অনেক ভালো ভালো প্রযোজনা বাংলা থিয়েটার পাইয়াছে। গ্রাম বাংলা মফস্বলের প্রতিযোগিতা মঞ্চ তথা বাঁধা মঞ্চে দাপাইয়া বেড়াইয়াছে শৌভিক। গৌতম মুখোপাধ্যায় এর নির্দেশনায় বর্তমান সময়ে সেইসব পুরাতন নাটকগুলোই ঘুরিয়া ঘুরিয়া মঞ্চে আনিতেছে । সাম্প্রতিক আবরু, মা প্রভৃতি নাটকগুলি সময় উপযোগী করায়া পরিবেশন করিতেছেন তাঁহারা। অমল আলোর পক্ষ হইতে এই সুবর্ন জয়ন্তীতে আন্তরিক শুভেচ্ছা রহিলো।