২৫এ অট্টহাসি, ‘আবার বাঞ্ছা’র মাধ্যমে চমকপ্রদ শুরু নাট্যমুখের

অশোকনগর নাট্যমুখ নাট্যদলের এ বছর ২৫ বছর। নানান থিয়েটারের মধ্যে তারা মনোজ মিত্রের সাজানো বাগান অবলম্বনে ‘আবার বাঞ্ছা’ নাম দিয়ে মঞ্চস্থ করছি। ইতিমধ্যে তারা রবীন্দ্রনাথ মোহিত চট্টোপাধ্যায় নভেন্দু সেন ব্রাত্য বসু বার্টল্ট ব্রেশট এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়র এর নাটক করেছে। এই দলের নির্দেশক ভারতবর্ষব্যাপী বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। তার মধ্যে শম্ভু মিত্র পুরস্কার রাজ্য সরকার প্রদত্ত সবিশেষ উল্লেখ্য। কেন্দ্রীয় সরকার থেকেও জুনিয়ার ফেলোশিপ এওয়ার্ড পেয়েছেন নির্দেশক অভি চক্রবর্তী। আবার বাঞ্ছা নাট্যে প্রধান চরিত্রে তথা নামভূমিকায় অভিনয় করছেন, অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সভাধিপতি নারায়াণ গোস্বামী। যিনি সংগীতে ইতিমিধ্যেই পরিচিত মানুষ। ভাল স্তোত্র পাঠ করেন বলেও সুনাম আছেন তার।

তবে রাজনৈতিক মানুষেরা সংস্কৃতিতে জড়িয়েছেন অনেক দিন থেকেই। বঙ্গসংস্কৃতিতে রাজনৈতিক মানুষদের নাট্যে যোগদানের ঘটনা এখন বেশ সুগম। এমনই সারণীতে নবতম সংযোজন অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা সভাধিপতি শ্রী নারায়ণ গোস্বামী। যিনি নিজেই বলেছেন, ‘অশোকনগরে বিধায়ক হয়ে আসার পর নাট্যমুখের অভি চক্রবর্তী’র সঙ্গে আমার পরিচয় যা আমার জীবনের বন্ধ দরজা খুলে দিয়েছে।’ অর্থাৎ তার থিয়েটারের প্রতি প্রেম, যা আগেই তিনি নাট্যোৎসব সংগঠিত করবার মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন, এবার স্বয়ং মঞ্চের স্পটলাইটের নীচে দাঁড়াবার জোরদার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। অভিনয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছেন কিংবদন্তি বাঞ্ছারামের চরিত্রে। হ্যাঁ মনোজ মিত্রের ‘সাজানো বাগান’ থেকে এ নাট্য নির্মাণ করছেন প্রথিতযশা পরিচালক অশোকনগর নাট্যমুখের অভি চক্রবর্তী। অভি জানাচ্ছেন, ‘ নারায়ণ গোস্বামীকে কেন্দ্র করে এই থিয়েটারটি দলের ২৫ বছরে মনোজ মিত্রের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ। আমরা মনোজ মিত্রকে জীবনকৃতি সম্মানও দিয়েছিলাম।মোহিত চট্টোপাধ্যায় নভেন্দু সেনের পর ইচ্ছা ছিল মনোজ মিত্রের কোনো নাটক করবার, নারায়ণ দা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় এ ইচ্ছে প্রকাশ করতেই আমরা লাফিয়ে পড়ি। আমরা বলতে এই কাজে দলের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী সংগীতা চক্রবর্তী এবং বর্ষীয়াণ অভিনেতা অরূপ গোস্বামীর নাম আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করব।’

এ ছাড়াও আমার অনেক পুরোনো ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষানবীশ অভিনেতা সহ বিশিষ্ট অভিনেতা রাজা গুহও আছেন এই কাজটিতে।’ অভি আরোও জানাচ্ছেন, ‘আমার থিয়েটারের পথ পরিক্রমায়, রিয়েলিস্টিক নাটকের প্রযোজনা প্রায় নেই বল্লেই চলে, আমি সবসময়ই রিয়েলিটি আর স্যুররিয়েলিটির মধ্যে একটা সেতু রাখতে চেষ্টা করি, এই নাট্যে তা নেই। সরাসরি বক্তব্য। তাও আবার তীব্র কমেডির মাধ্যমে। এপ্রসঙ্গে বলি কমেডি নাটকও আমি করিনি কখনো তাই আমার কাছেও আবার বাঞ্ছা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ এবং নতুন ধরনের কাজের উদ্দীপনা সঞ্চারকারি।’

আগামী ৫ অক্টোবর নিউব্যারাকপুর কৃষ্টিতে এই নাট্যের প্রথম অভিনয়, সন্ধে ৬-৩০এ।

অভি চক্রবর্তী