শম্ভু মিত্র যাপনচিত্র | পর্ব – ১২

কমল সাহা

ছেঁড়াতার / ১

রংপুরের জমিদার বংশে জন্ম তুলসীদাসের। ওকালতি করেছেন রংপুরে এবং আলিপুর কোর্টে। ছেলেবেলা থেকেই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও রবীন্দ্র সাহিত্যের ভক্ত। অভিনয় শিক্ষক রংপুরের তারাপ্রসন্ন সান্যাল মহাশয় ৩২ বছর বয়সে ১৯২৯ সালে হিজ মাস্টার্স ভয়েসে তাঁর লেখা গান গাইলেন ওস্তাদ জমিরুদ্দিন খাঁ। শুরু হলো সুরকার গীতিকার পরিচালক ও অভিনেতার জীবন। আর্ট থিয়েটারে অনেক স্মরণীয় নাটকে অভিনয় ও সুর সংযোজনা। ১৯৩২ সালে লিখলেন প্রথম স্ববাক চিত্রনাট্য তমুনা পুলিনে। ১০ বছর বাদে তীব্র মতবিরোধ। সব ছেড়েছুঁড়ে চলে এলেন জলপাইগুড়ি। সেখানে আরেক জীবন। কিনে ফেললেন ১৫০ বিঘা ধানী জমি, ৬০ বিঘা বসতজমি। শুরু করালেন চাষবাস। শিল্পক্ষেত্র থেকে সোজা ধান্য ক্ষেত্রে! এইখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হলো রহিমুদ্দি ফুলজান হাকিমুদ্দি আর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। ছেঁড়াতারের চরিত্রদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ। রংপুরের দুর্ভিক্ষ উঠে এলো উত্তরবঙ্গের চাষীদের জীবনে। ব্যবহৃত হলো বাহে উপভাষা। তুলসী লাহিড়ী নাট্যজগতে আবার ফিরে আসেন দুঃখীর ইমান নিয়ে শ্রীরঙ্গমে — তারপর যোগ দিলেন শম্ভু মিত্রের দলে। ছেঁড়াতার জুড়ে গেল নাট্যমায়ায়।

ভাবতে ভালো লাগছে, কী চমৎকার বাংলা গদ্য লিখছেন বহুরূপী তাঁদের ছেঁড়াতার স্মারক পত্রে — নিশ্চিয়‌ই শম্ভু মিত্রের লেখা! আমরা দেখবো পরবর্তী কালে প্রতিটি নাটকের ভূমিকাপত্র হয়ে উঠবে সংরক্ষণযোগ্য, সুন্দর। অক্ষরবিন্যাস, নাট্য পরিচিতি, মুদ্রণ পরিপাট্য — সবটাতেই ফুটে উঠবে এক সমৃদ্ধ শিল্পবোধ। অনেক নাট্যদল‌ই অনুসরণ করবে তাঁর এই সব কীর্তি কিন্তু বহুরূপীর ঐতিহ্য একেবারে অন্যরকম, অন্য তার মাত্রা।

বসির চরিত্র জুড়ে দেয়া হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায় থেকে। আমরা নবান্ন নাটকে পেয়েছি অপূর্ব এক কাব্যময়তা — ছেঁড়াতারেও রূপকথার আমেজ। মানুষের মৃত্যু আর হাহাকার নিয়ে ব্যথাতুর আমাদের এই নাট্যদল আর নির্দেশক। উদ্বিগ্ন এই সমাজের পতন নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে দায়বদ্ধতার‌ও। বেদনার হলেও সত্যি এই দায়বদ্ধতা ক্রমশ বিলীন হবে শিল্পবদ্ধতার ঘেরাটোপে।

ছেঁড়াতার /২

ছেঁড়াতারের মহলা চলছে। প্রায় সমাপ্তির কাছাকাছি। স্মার্টা গ্রাউন্ডে শান্তি সমাবেশ। গণনাট্য ও নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উদ্বোধন করছেন শচীন সেনগুপ্ত। তাঁর ভাষণ ছিল নাট্যকর্মীদের প্রতি অমূল্য নির্দেশ। সলিল চৌধুরী পানুপাল উৎপল দত্ত নিরঞ্জন সেন বীরু মুখোপাধ্যায় এই পর্বে গণনাট্যের হাল ধরেছেন। সলিল চৌধুরী বিশেষ ভাবে আমন্ত্রণ জানালেন শম্ভু মিত্রকে এই শান্তি সমাবেশে কিছু একটা করার জন্যে।
মধুবংশীর গলি নয় — বহুরূপী অভিনয় করলো ছেঁড়াতারের ভাল্লাকের দৃশ্যটা। তখনো নাটকটার প্রথম শো হয়নি। দর্শক মুগ্ধ। শম্ভু মিত্র টের পেলেন, এই সেদিনের দাঙ্গা আর দুর্ভিক্ষ আজ‌ও মানুষ ভুলতে পারেনি। এবারের নাট্য নির্বাচনে কোন ভুল হয়নি। সিয়োর সাকসেস। এ ঘটনা নভেম্বর’৫০।

ডিসেম্বরে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন শম্ভু মিত্র। জানালেন : বহুরূপীর প্রথম নাট্য উৎসব হবে নিউ এম্পায়ারে। বেশ বড়ো করে। শুনেই নিন্দুকের দল উল্লসিত! এবার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, সাহেব পাড়ায় অতো বড়ো রঙ্গালয়ে দুর্ভিক্ষের নাটক হবে! মানুষের বিপন্নতা নিয়ে বাণিজ্যের কী কুৎসিত আয়োজন! গ্রুপ থিয়েটার নাটক করবে নিউ এম্পায়ারে! এই হচ্ছে আর্দশ! এই হচ্ছে গণনাট্যের শিক্ষা! ছিঃ ছিঃ!
শম্ভু মিত্র নির্বিকার। সমালোচনার ঝড় কখন থামবে, কীভাবে থামবে তা তিনি জানেন। তিনি এখন প্রতিক্রিয়াশীল… বাকিরা ক্রিয়াশীল… দেখা যাক – কে কোথায় থাকেন!
নিন্দুকের দলে ছিলেন অনেকেই। জোছন দস্তিদার অন্যতম। পরে দেখা যাবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মঞ্চ ছাড়া গ্রুপ থিয়েটারের টিকিট‌ই বিক্রি হবে না! সবাই অনুসরণ করবে এই পথ।
কোথায় হচ্ছে বড় কথা নয়, বিচার্য কি হচ্ছে এবং কিভাবে বলা হচ্ছে সেটাই। জানি না, এলিটদের বাদ দিয়ে গরীবদের শোষণমুক্তির সংগ্রাম কবে কোথায় সম্পন্ন হয়েছে!

ছেঁড়াতার / ৩

এ নাটকে তিন অঙ্কের ন’টা দৃশ্য। অত‌এব দ্রুত পরিবর্তন প্রয়োজন। কোনো দৃশ্য‌েই আসবাবপত্র বেশী আনা যায় না। দৃশ্য হচ্ছে গ্রাম্যপথ ও রহিমুদ্দির বাড়ি। আর তিনটি দৃশ্য আছে যাকে বলে মধ্যবিত্তের বসবার ঘর। একজন এগ্রিকালচারাল অফিসারের বসবার ঘর। গ্রাম্য জোতদারের ঘর। সাজানো হিসাবে সবচেয়ে মার খেল এই দৃশ্যগুলি। একটা চটের পর্দার ওপর এক-আধটা আসবাব বা জানালা এঁকে দেওয়া হলো আর তার সামনে দু-একটা চেয়ার বা মোড়া। মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয় অথচ আমাদের ক্ষমতা হিসাবে এর চেয়ে বেশি মাথায় এলো না। মন দেয়া হলো সাধারণ চাষীদের দৃশ্যগুলির ওপর। দূর থেকে দেখলে গ্রামের যে চেহারাটা চোখে পড়ে সেইরকম একটা ছবি আঁকা হলো পিচবোর্ডের ওপর। তার খাড়াই আড়াই ফুট আর লম্বায় ফুট তিরিশেক। সেইটাকে কাঠের ফ্রেমে সেঁটে দাঁড় করিয়ে দেয়া হলো পিছনের পর্দার একদম গায়ে। যখন সাধারণ গ্রাম‌্য পথের দৃশ্য তখন মঞ্চের ওপর আর কিছুই থাকছে না। আবার যখন চাষী রহিমুদ্দির বাড়ির দৃশ্য তখন একটা হালকা তক্তপোশের ওপর কুটীরের সামনেটা বানানো ছিল সেইটাকেই ঠেলে দেয়া হচ্ছিল মঞ্চের ওপর। প্রথম অঙ্কের জন্য অপর দিকে একটা কলাগাছ ও একটা ছোট্ট ঝুপড়ি মতন‌ও করা হতো। সেগুলো অবশ্য দুর্ভিক্ষ ইত্যাদির দৃশ্যে আর হতো না।
(কয়েকটি অভিনয়ের কথা/শম্ভু মিত্র/প্রসঙ্গ : নাট্য ১৯৭১)

১৯৫০ সালে এইরকম মঞ্চসজ্জা একটা বিপ্লব এনেছিল। আজকের নাট্যকর্মীদের পক্ষে এসব ভাবনা খুবই সহজ। হাবিব তনবীর ‘চরণদাস চোর’ করছেন প্রায় শূন্য মঞ্চে। করতে পারছেন এই কারণে যে গত ৪০ বছরে অল্প অল্প করে ঘটে গেছে এক বিরাট বিবর্তন। ১৮৭২ থেকে ১৯৫০ — এই দীর্ঘদিনের দর্শকরুচি বদলে ফেলা সহজ কর্ম নয়। অমরেন্দ্রনাথ দত্ত বাস্তব আসবাবে মঞ্চ ভরিয়ে বিপ্লব করেছিলেন; রবীন্দ্রনাথ কিছু গাছপালা সাজিয়ে মঞ্চ গড়লেন — সেও এক বিপ্লব; মঞ্চটাকে আপ্রাণ বাস্তবসম্মত করার যুদ্ধ চলেছে প্রতিটি নাটকে উত্তর কলকাতায়।

শম্ভু মিত্র দেখালেন, ভালো সংঘবদ্ধ অভিনয়ে ফুটে ওঠে প্রকৃত বাস্তব — মঞ্চের মঞ্চসজ্জা তখন খুব ভারী মনে হয়। অর্থের অভাবে উপকরণ কমানো হলো — প্রয়োগ-নৈপুণ্যে তা-ই হয়ে উঠলো অনবদ্য ; অভিনব ; অসাধারণ ইত্যাদি …

ছেঁড়াতার / ৪

সেই অনেক দূর উত্তরবঙ্গে এক যে ছিল বাহে চাষা… এ যেন একটা রূপকথা। তাইতো এই নানা কোলাহলে মুখরিত শহরের ঘূর্ণির মধ্যে উদ্‌ভ্রান্ত হয়ে যখন আমরা নিঃসঙ্গ বোধ করি তখন এই রূপকথাই আমাদের মনের সামনে এসে ভাসে। সেই জলঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার সবুজ করুণ কিনারা সেই যে ঘুঘু ডাকা ছায়ায় ঢাকা বাংলার গ্রাম যেখানে লম্বা লম্বা ছায়া ফেলে প্রতিদিন যখন সূর্য অস্ত যায় তখন তার সেই জ্বলন্ত আভা লেগে নদীর জল যেন লাল আভায় টল্ টল্ করে — সেই অখণ্ডিত বাংলার কাহিনী তো আজ রূপকথাই বটে! বাংলাদেশের রূপমতী গ্রামের এক বাঙালি চাষার কাহিনী এই ছেঁড়াতার।
চাষীর নাম রহিমুদ্দি। সংসারে তার বৌ ফুলজান, ছোট্ট ছেলে বসির আর তার বুড়ি মা। রূপকথার মানুষ তারা। হিন্দু মুসলমান। সবাই ভাই ভাই। আর এর‌ই মধ্যে আবার ইংরেজ কোম্পানির ভূমি ব্যবস্থায় রোগগ্রস্ত সমাজের রাক্ষস-খোক্কস‌ও আছে। জোতদার হাকিমুদ্দি আছে, গ্রাম্য প্রেসিডেন্ট নজর আলি আকন্দ আছে। রহিমুদ্দি কিন্তু রাজ্য চায়নি, সম্পদ চায়নি, প্রতিপত্তি চায়নি। সে শুধু ভালো করে বাঁচতে চেয়েছিল। গান গেয়ে বাজনা বাজিয়ে ফুলগাছ লাগিয়ে …
এলো দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ। আর পঞ্চাশের মন্বন্তর। হাজার হাজার হাকিমুদ্দিরা অন্ধকার বিবর থেকে বেরিয়ে এলো মানুষের প্রাণের দামে মুনাফা সংগ্রহ করতে। তাদের নির্লজ্জ উলঙ্গ লোভে সেদিন লাখে লাখে বাঙালি মরে গেল। যেখানে নিস্তব্ধ প্রান্তরের মেঘের দুপুর ভাসে আর সোনালী চিলের বুক উন্মনা হয়ে ওঠে, সেইখানে সেই ধানসিরি নদীটির পাশে, তাদের শুষ্ক সাদা কংকাল রূপমতী বাংলার বুকে ছড়িয়ে গেল। অভুক্ত রোগাক্রান্ত রহিম — সে বাধাও অতিক্রম করার চেষ্টা করল … হাকিমুদ্দিরা যে মোহান্ত সেজে ধর্মের নামে মানুষকে মারবার কৌশল করে রেখেছে তার কবল থেকে রহিমুদ্দি আর বাঁচতে পারল না। তাই তো রহিম, গোবিন্দ আর শ্রীমন্তদের সঙ্গে সঙ্গে সেই বাংলাদেশ মরে গেল। সমাজে অন্যায় আরো উলঙ্গ হয়ে উঠেছে। দুর্নীতির প্রাঙ্গণে আমাদের যেন আজ শ্বাসরোধ হয়ে আসছে। সেই রহিমুদ্দিদের অতৃপ্ত আত্মা তাই তো একটা দায় রেখে গেছে আমাদের ওপর। আমরা যেন ভুলে না যাই।
(সংক্ষেপিত – ছেঁড়াতার স্মারকপত্র)

ছেঁড়াতার / ৫

প্রথম অভিনয় ১৭.১২.১৯৫০, নিউ এম্পায়ার। প্রযোজনা: বহুরূপী। রচনা: তুলসী লাহিড়ী। নির্দেশনা: শম্ভু মিত্র।

অভিনয়ে:-
রহিমুদ্দি: শম্ভু মিত্র, মরে মামুদ: অমর গাঙ্গুলী, তমিজ: মহম্মদ জ্যাকেরিয়া, ভবেশ: প্রশান্ত চ্যাটার্জী, মায়া: গীতা ভাদুড়ী, ফুলজান: তৃপ্তি মিত্র, হাকিমুদ্দি: তুলসী লাহিড়ী/গঙ্গাপদ বসু, কানা ফকির: কানু ব্যানার্জী/পারিজাত বসু, শিয়ালু: গঙ্গাপদ বসু/কুমার রায়, ক্যাটকেটি ডাক্তার: শিবশংকর মুখার্জী/কুমার রায়, রহিমুদ্দির মা: স্মৃতি ভাদুড়ী/আরতি মৈত্র, দারোগা: অশোক মজুমদার/নির্মল চ্যাটার্জী,
মামুদ: শোভেন মজুমদার/নির্মল চ্যাটার্জী,
শ্রীমন্ত: মহম্মদ ইসরাইল/মহ: জ্যাকেরিয়া,
গোবিন্দ: সবিতাব্রত দত্ত/শোভন মজুমদার,
কুকড়া : গঙ্গাপদ বসু/অমর গাঙ্গুলী/কুমার রায়, ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট: মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য/ননী চক্রবর্তী,
১৭ টি চরিত্রে ২২ জন গীতা তৃপ্তি স্মৃতি… মুক্তি? ছেঁড়াতার নব পর্যায়ে শুরু (১৩.২.১৯৬৫)।

জমে উঠেছে ছেঁড়াতার। প্রথম নাট্যোৎসবের পর থেকেই বহুরূপীর নাম ডাক বাড়ছে। প্রুচর কল শো আসছে। মূলধন বাড়ছে দ্রুত। দলটার খ্যাতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব‌ও দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে। স্বপ্ন সফল হতে চলেছে শম্ভু মিত্রের। মাসিমা বলতেন : দুর্ভিক্ষের যতো, তোদের নাটক‌ও ততো … দুর্ভিক্ষ চলে গেলে তোরা কি করবি? জমবে তো?
(তৃপ্তিদির স্মৃতি)

অর্থ নিয়ে কোনো লোভ ছিল না শম্ভু মিত্রের। না চাইতেই তিনি পেয়েছেন প্রচুর। সংসার নির্বাহের সামান্য খরচ উঠে এসেছে নাট্যকর্ম থেকেই। সেই অর্থে আজীবনই তিনি ছিলেন উপার্জনহীন। বেকার।
কল শোর বৃদ্ধি মানেই দলের শ্রীবৃদ্ধি। এ জন্যে যে কোন কষ্ট সইতে সবাই প্রস্তুত। বর্ধমানে এসে ৬ মাইল রাস্তা গরুর গাড়িতে গিয়ে কল শো করছেন মহর্ষি, তুলসী লাহিড়ী, কালী সরকার, গঙ্গাপদ বসু!
এবার সুন্দর হাসি দলনেতার ঠোঁটে। গণনাট্য ছেড়ে দেবার সুফল মিলছে। রহিমুদ্দি, ফুলজান দেখিয়ে দেবে — সমস্ত প্রতিরোধ বিপত্তির মোকাবিলা করার ক্ষমতা তাঁদের আছে। তাঁরা চলবেন কারো নির্দেশে নয় — নিজেদের নির্দেশে।

ক্রমশঃ (বোল্ড হবে)

9 thoughts on “শম্ভু মিত্র যাপনচিত্র | পর্ব – ১২

  1. দারুণ তথ্যেনিষ্ঠ লেখা। কমল দা আমাদের সময়ের এক জীবন্ত তথ্যকোষ।

Comments are closed.