( চুঁচুড়া সারথি নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা নির্দেশক অভিনেতা সমীর সেনগুপ্তর মুখোমুখি কথা বললেন অমল আলো জার্নালের সম্পাদক অভি চক্রবর্তী )
অভি: সমীরদা মানে চুঁচুড়া সারথির প্রতিষ্ঠাতা, নির্দেশক সমীর সেনগুপ্তর সামনে আমরা বসে আছি গুলশনের ১৫০০ অতিক্রান্ত এক অভিনয়ের প্রাক্কালে।
সমীর: ১৫২১
অভি: হুম, ১৫২১ তম এক অভিনয়ের প্রাক্কালে, এক বিশেষ অভিনয়ের। বিশেষ একারণে বলছি, কারণ তুমি এর আগেও ‘অশোকনগর নাট্যমুখ’ এর ‘অমল আলোয়’ তুমি সদ্ইচ্ছায় এসে অভিনয় করেছো এক বছর আগে। আবার করছো এই উদ্যোগ নিশ্চয়ই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মে যারা আমরা কাজ করছি তাদেরকে খানিকটা প্রেরণা দেয়। কারণ চুচুঁড়া থেকে তুমি ও আমাদের সমীরণ ব্যাণ্ডেল থেকে। ওইদিককার এই দুটি দল, ডানকুনি থেকেও আমরা অনেককে পেয়েছি। অবশ্য সেটা ভিন্ন প্রশ্ন। কিন্তু আমার যেটা মূল প্রশ্ন আজকের। তোমার ইন্টারভিউ আগেও নাট্যমুখ নাট্যপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, তোমার নিশ্চয়ই সেটা স্মরণে থাকবে। অমল আলো জার্নাল আমরা নতুন করে তৈরি করেছি, তুমি দেখেছো। পুজোর আগে আগেই প্রকাশিত হয়েছে। আজকে আমার যেটা প্রশ্ন – গতকাল একজন অশোকনগরেরই পুরনো নাটকের মানুষ তাঁকে বলছিলাম যে দাদা এখানে থিয়েটার আছে।
বললেন : কি নাটক আছে?
আমি বললাম : গুলশন।
উনি বললেন : গুলশনের এখন কি আর মানে আছে৷ ? ধর্ম এখন যে জায়গায় চলে গেছে, সেখানে গুলশনের ঐ জায়গাটার মানে প্রয়োজনীয়তা আছে ?
আমি বললাম : এটাকে তুমি কিভাবে দেখো?
সমীর: আমি নাটকটা করছি টানা ৩৪ বছর ধরে। আমার কাছে মনে হয়েছে, বা যেসব প্রজন্ম পেড়িয়ে এলাম দর্শকের দিক থেকে এই পর্যন্ত এসে মনে হয়েছে এই ৩৪ বছর আগে এই নাটকটার বক্তব্য তখন প্রতিযোগিতা ছিল বিচারকদের কাছে। তখনও দর্শকের কাছে যেমন পেয়েছি, আমার মনে হয় নিবেদনটা এখনও সেরকমই রয়ে গেছে। তখন এতটা বাড়াবাড়ি ছিলনা যখন আমরা শুরু করি। এখন যে পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে ‘গুলশন’ এর তাৎপর্য আরও বেড়ে গেছে।
অভি: আচ্ছা।
সমীর: যখন শুরু করি, তখন কিন্তু এত মাতামাতিটা ছিল না। কিন্তু দিনদিন এত ভয়ংকর একটা গহ্বরে ধর্মকে নিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে সেইখানে মনে হচ্ছে, গুলশনের প্রয়োজনীয়তাটা যেন আরও বাড়লো। যারজন্যই বোধহয় এত নাটকটা মানুষের কাছে এত পৌঁছেছে,বা সেই একই আবেদন এখনো পাচ্ছি।
অভি: এইখানেই আমার একটা প্রশ্ন সমীরদা। তোমার যখন ২৫ বছর বয়স, তখন তুমি এই নাটকটা করা শুরু করেছো, সারথি দলেই। তোমার এখন ৬১, স্বাভাবিকভাবেই তুমিও বলছো বা আমরাও বুঝতে পারছি চরিত্রের বয়স এখন আর চরিত্রের সাথে যায়না। রূপসজ্জার সহযোগিতায় ও তোমার নিজস্ব ক্যারিশমা দিয়ে সেটা করার চেষ্টা করছো। কিন্তু দলে কি সেরকম গ্রহণযোগ্য বা নির্ভরযোগ্য প্রজন্ম তৈরি হলো না? যাকে দিয়ে তুমি এই ক্যারেক্টার তোলাতে পারতে?
সমীর: না, নিশ্চয়ই তৈরি হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু তুমি পুরো নাটকটা দেখলেই বুঝতে পারবে। এত বেশি নাটকটা সেল্ফ ইম্প্রোভাইজেশনের উপর চলছে ক্যারেক্টারটা যেটা মনে হয় কাউকে তুলিয়ে হবেনা, কাউকে তৈরি করে হবেনা। আমি ইন্সট্যান্ট সেদিনই দাঁড়িয়ে ওখানে সংলাপ বলি। যদি দেখি এই ধর্মের উপর কোনো সংলাপ সকালবেলাই আমাকে আহত করতো আমি সেদিনই সেই সংলাপ বলি।
অভি: আচ্ছা। আচ্ছা।
সমীর: এটাই এটার একটা বিশেষত্ব, যার জন্য কোনো ছেলে তারা তৈরি হলেও রাজি হয়নি। তাদের বয়স গেলেও তারা রাজি হয়নি। এই ছোটোখাটো ইম্প্রোভাইজেশন গুলো যে আছে সেটা না দিলে কিন্তু এই চরিত্র যাবে না। এবং নাটকটাও ওরকম জমে উঠবে না। নাটকটাও যে ওরকম জমার মতো নাটক হয়ে ওঠে সেটা কিন্তু তুমি দেখলেই বুঝতে পারবে ওই তাৎক্ষণিক ইম্প্রোভাইজেশন গুলোর উপর অনেকখানিই নির্ভর করছে।
অভি: তা সমীরদা, একটা চরিত্র এই ১৫২১ রজনী ধরে তার পোশাকের মধ্যে বাস করছো, তার মস্তিষ্কের চলাচলকে নিজের মস্তিষ্কে ধারণ করছো,তার মনকে নিজের মনের সাথে মিলিয়ে ফেলছো। কখনো ক্লান্ত লাগেনি?
সমীর: না, আসলে কি গুলশন এখন হয় তো অনেক গ্যাপে গ্যাপে। যেমন ধরো, তোমাদের অনুরোধে এসেছি। আশিস ( চট্টোপাধ্যায়) বলেছিল। ওরকম গ্যাপে গ্যাপে হচ্ছে। আগে ধরো এমন হয়েছে, ৩০ দিনে গুলশন ৩৫ টাও অভিনয় হয়েছে।
অভি: এটা কোন সময়ের কথা বলছো ?
সমীর: এটা আমি বলছি, ১৯৮০ এর শেষ ১৯৯০ এর দিকে। তখন ২ টো করেও শো করেছি, এমনও হয়েছে। আজকে ৩৭ বছর, যেটুকু আর্থিক দিক থেকে সংগতি সেটা গুলশনই দিয়েছে। একটা প্রোডাকশন যে একটা দলকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে, গুলশনই তার অন্যতম উদাহরণ।
অভি: তোমাদের সেইসময় ধরো কোনো অনুদান ছিল না, কোনো কিচ্ছু ছিল না, কোনো কিছুই নেই, সারথি এখনো বোধহয় কোনো অনুদান বা কিছুই তো পাওনি। এবার তুমি এই নাটকটার যে কল-শো , প্রতিযোগিতা মঞ্চের পুরস্কারের উপর ডিপেন্ড করে তোমার দল আস্তে আস্তে ডানা মেলেছে।
সমীর: আমরা যত বড় বড় উৎসব করেছি, গুলশন দিয়েই সব টাকা কিন্তু শোধ করেছি। আমরা ১ বছর অন্তর উৎসব করতাম, গুলশনই কিন্তু আমাদের লক্ষ্মী ছিল যে আমাদের আছে, এটা দিয়েই আমরা একবছর মানে এত কন্ফিডেন্স ছিল এবং সেইসময় দাঁড়িয়ে অনেককেই বলতে হয়েছে যে ডেট নেই।
অভি: মানে ‘গুলশন’ করা যাবে না? মানে আমি বলছি যে ধরো আজকের দিনে একটা নাটকের ৫ টা শো হওয়ার পরেই ফেসবুকে আরেকটা নতুন পোস্টার আসছে, একটা দলের বা নাটকের। সময় পরিবর্তন নিশ্চয়ই হচ্ছে, অনেক চ্যানেল বেড়েছে বা কিছু বেড়েছে। কিন্তু এটা কি কোথাও মনে হয় সমীরদা, যে একটা নাটক থেকে আরেকটা নাটকে যাওয়া তো একটা বিশাল জার্নি থাকে আসলে, অভিনেতার কাছে জার্নি পরিচালকের কাছে জার্নি, নাটককারের কাছে জার্নি, আলোর-পরিকল্পকের কাছে জার্নি — সেখানে এই যে নাটকের মধ্যে থাকা তার চরিত্রের সাথে বসবাস করতে করতে তো ঢুকে পরা যায় কিন্তু সেটা অন্তত গোটা ১০-১৫ শো নাহলে সেটা তো বোঝাই যায়না।
সমীর: হ্যাঁ, আমি তো সেটা বিশ্বাসই করিইনা। যে একটা নাটক ৪/৫টা শো হলো তার ঘাড়ে আরেকটা! তুমি বিশ্বাস করবে না, আমাদের দল ১৯৮৪ তে শুরু, শুরু তো কাকচরিত্র দিয়ে।
অভি: কাকচরিত্র মানে মনোজ মিত্রর তো?
সমীর: হ্যাঁ। মনোজ মিত্র দিয়ে শুরু করেছিলাম। তখন আমার কত হবে? ঐ ১৭-১৮ বছর বয়স। তখন ধরো কাকচরিত্র প্রায় ২০০ শো করেছি। দুই হুজুরের গপ্পো ৬০০ শো করেছি। কোনো নাটক আমি ১০০ এর কমে শো করেছি, আমার মনে পরে না। এবং পূর্ণাঙ্গ নাটক ধরো ১২,১৪,১৫,১৬টা করে শো করেছি। মানে আমি ঠিক স্যাটিজফাইড হইনি। আমার প্রত্যেক মুহূর্তে মনে হয় নাটক যেন নতুন করে জন্ম নিচ্ছে ।আজকে ঐ গুলশন করবো,কিন্তু নতুন করে করবো। কারণ এতগুলো শো হয়ে যাওয়ার পর তো যান্ত্রিক হয়ে যায়।
অভি: হ্যাঁ। যান্ত্রিক হয়ে যায়।
সমীর: কম্পিউটারে চলে। কিন্তু না, প্রত্যেকটা ছেলেকেই বলা আছে আজ কিন্তু নতুন করে জন্মাবে।
অভি: আচ্ছা।
সমীর: ওরা কিন্তু খুব আনন্দ পায়। হইহই করে রিহার্সাল করে। গুলশন আছে মানে ওরা অন্য প্রাণ পাচ্ছে। কারণ কি দর্শকের সাথে মিলেমিশে এক হয়ে যাইনি, দর্শকের যে সামনা সামনি শ্বাস- প্রশ্বাস নেওয়া এটা আমরা এ নাটকে প্রচন্ড পাই, সেজন্যে এটা খুব ছেলে-মেয়েরা আনন্দ কোরে করে।
অভি: আচ্ছা। আচ্ছা।
সমীর: মানে খুবই আনন্দ কোরে করে।
অভি: নিশ্চয়ই তুমি যখন গুলশন শুরু করেছিলে, কোনো লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুরু করোনি, যে এতগুলো অভিনয় হবে বা কিছু?এরকম ভেবে তো কিছু করোনি?
সমীর: এত সফলতা আসবে তাও নয়। একটা তৈরি করেছিলাম। শ্যামলতনু দাশগুপ্ত একবার বলেছিলেন – যে এত গুলশন দেখেছি আমি, সমীরের গুলশন যেন একটা অন্যমাত্রা দেয়। অন্যভাবনা দেয়। এটা ওনার বক্তব্য আর কি। শ্যামাদা ( গুলশন নাটকের নাট্যকার শ্যামাকান্ত দাস) তো দেখে অভিভূত হয়েগেছিলেন,যার লেখা। এছাড়া এটা তো আমি সিরিয়ালও করেছিলাম।
অভি: তাই?
সমীর: হ্যাঁ, ইন্দ্রাণী হালদার আমার অপজিটে করেছিলেন, যেটা আমার স্ত্রী করবে সীমা। ওটা ইন্দ্রাণী হালদার করেছিলেন। যেহেতু এটা ব্যবসার ব্যাপার তো।
অভি: সিরিয়াল মানে, নাটকের মতো করে সিরিয়াল নাকি?
সমীর: না,না। একদম ফিল্মের মতো। তাতে সুনীল,স্বপনদা করেছিলেন।
অভি: কোথায় হয়েছিল এটা?
সমীর: এটা বিভিন্ন জায়গায়। কোলকাতার বিভিন্ন জায়গায়।
অভি দা : না, না। আমি বলছি এটা দেখানো হয়েছিল কোথায়?
সমীর: এটা দেখানো হয়েছিল তখন “DD” তে। DD 1 এ, এখন DD 7 হয়েছে, বাংলা সিরিয়াল তখন কিন্তু শুধু ওখানেই হতো। আমরা ১৩ এপিসোডের একটা স্লট পেয়েছিলাম। মানে আমাদের প্রডিউসার পেয়েছিলেন।
অভি: আচ্ছা,আচ্ছা।
সমীর: তখন শ্যামাদার কাছে পারমিশন নিতে গেলে শ্যামাদা বলেছিল যে এই চরিত্রে নিলে কিন্তু সমীরকেই নিতে হবে,কারণ ও নাটকটা আদ্যপ্রান্ত খেয়ে বসে আছে। আমিই চিত্রনাট্য করলাম। এডিটিংও আমার।
অভি: ওটা চিত্রনাট্য তোমার করা ছিল?
সমীর: হ্যাঁ, আমার করা।
অভি: বেশ। বাহ্।
সমীর: অঞ্জন (বিশ্বাস) ডিরেকশন দিয়েছিলেন।
অভি: কোন সালে করা এটা?
সমীর: বলে দিচ্ছি তোমায় (একটু ভেবে) ১৯৯২
অভি: আচ্ছা, আচ্ছা। তোমাকে আরেকটা জিনিস জিজ্ঞাস্য, শেষ প্রশ্ন – তুমি কি চাইবে এই নাটকটা ২০০০ রজনী হোক? নাকি চাইবে যে যেরকম চলছে চলুক। তাতে হলে হবে, নাহলে না হবে ? কোনো অতিরিক্ত উদ্যোগ থাকবে ২০০০ রজনীর দিকে?
সমীর: আমি যেমন ছেলেদের উদ্যোগ দেখি,তেমন দর্শকেরও উৎসাহ পাই। সামাজিক দিক থেকেও যে দায়বদ্ধতা রয়েছে নাটকটার, সব মিলিয়ে মনে হয় নাটকটা সব জায়গায়তেই করা হোক। আর আমারও তো তাই মনে হয়। তবে তা আমার স্থায়িত্বের উপর নির্ভর করছে।
অভি: না না। আমরা সকলেই চাইবো যে তুমি আরো দীর্ঘজীবী হও। ৬০/৬১ বছর থিয়েটারের জীবনে খুব একটা বয়স নয়। কারণ আমরা অনেককে দেখেছি ৮০-৮৫ বছর বয়স অব্দি কাজ করেছেন বা করছেন।
সমীর: হ্যাঁ গৌতমদার ( মুখার্জী) তো ৭২ হয়ে গেছে।
অভি: হ্যাঁ, উনিও তো কাজ করছেন।
সমীর: শঙ্কর বসু ঠাকুর, আমি প্রথম কাজ শুরু করি ওঁনার হাতে। দিলীপদাও (বসু ঠাকুর) তো এখনো সঙ্গে আছেন। শঙ্করদারও তো কম হলো না।
অভি: শঙ্করদা তোমাদের থেকে বড়?
সমীর: শঙ্করদা,অনেক বড়। একসময় শঙ্করদার স্ক্রিপ্টই বেশি পড়তাম। হেলেন, অরুন্ধতী যদিও সব বিদেশী। শঙ্করদা অপূর্ব ভঙ্গিকরণ করতো। আর আমাদের যেহেতু সবটাই জানতেন আমি তো বাড়ির ছেলের মতোই ছিলাম। তাই আমাকে ভেবেই বা আমার দলকে ভেবেই উনি ভঙ্গিকরণটা বা নাট্যকরণ করতেন। ঐজন্য আমি কৃতজ্ঞ। এই দুজনের কাছে।
অভি: তোমার দল কি এদের পরে হয়েছে? ‘এষণা’ ?
সমীর: এষণা আগে।
অভি: সারথি পরে?
সমীর: হ্যাঁ হ্যাঁ। সারথি পরে।
অভি: তুমি আগে ঐ দলেই ছিলে?
সমীর: না না। আমি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন যেটা এখন ‘যৌথিক’ হয়েছে।
অভি: হ্যাঁ হ্যাঁ নাম শুনেছি।
সমীর: হ্যাঁ। ওখানেই ৪-৫ বছর ছিলাম। আমার সিরিয়াস থিয়েটার চর্চা ১৫ বছর বয়স থেকে। মানে যখন মাধ্যমিক দিলাম। ১৫-১৬ এর মধ্যে। তারপর সিরিয়াসলি করলাম। নেশাটা ছিল। আমার অ্যাকচুয়ালি নেশা ছিল হকি খেলার। হকিটা আমাদের চুঁচুড়ায় খুব বিখ্যাত ছিল।
অভি: তাই?
সমীর: আমাদের বড় বড় প্লেয়ার ছিল। রঞ্জন পাল। ওদের সাথেই খেলতাম। ইচ্ছে ছিল, হকিটা করেই চাকরি পাবো। কি নেশা — নাটক টেনে নিলো।
অভি: সর্বগ্রাসী নেশা। যাইহোক, ভালো লাগলো সমীরদা তোমায় সাথে আলাপচারিতায়। আমরা খুব দ্রুত সাক্ষাৎকার প্রকাশ করবো। ধন্যবাদ।
সমীর: ঠিক আছে । তোমাকেও ধন্যবাদ।
সমৃদ্ধ হলাম। আরো অনেক দিন আপনি থাকুন থিয়েটারে থাকুন।
প্রণাম নেবেন 🙏
অসাধারণ শব্দচয়ন ও সম্পাদনা। অনেক অভিন্দন্দন ও ভালোবাসা। এই বয়সে এসে নিজেকে জানার, নিজেকে চেনার সুযোগ দেওয়ায় আমি অভিভূত! আমার জীবনে গোধূলি আলোয় শেষ রঙ ছড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় তোমাদের এই ভাবনা বাকি কাজের প্রেরণা। তবে দুটো শব্ধ সংশোধনের সুযোগ থাকলে করে দেবে… ১! অঞ্জন বিশ্বাস নয়, মুখোপাধ্যায় হবে।২! বঙ্গী করন হবে, ওটা ভঙ্গিকরণ হয়েছে। তোমাদের থিয়েটারের কাজ ও প্রকাশনা প্রতিটা দিন সমৃদ্ধ হোক এই কামনা….🌹🌹🌹🌹
ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। বয়েস একটা সংখ্যা।
খুব ভালো লাগলো।
সারথি’র গুলশন বেশ কয়েকবার দেখেছি। আমাদের নাট্যোৎসবেও নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে। আমরা একসঙ্গেও করেছি কোনো উৎসবে। সব বারই ভালো লেগেছে এই নাটক।
‘গুলশন’ চলুক।
খুব প্রয়োজনীয় নাটক। বিশেষ করে এই সময়ে।
খুব প্রয়োজনীয় এ সময়ে।