আমরা ইতিমধ্যে যেসব স্পেস নিজেরা ঘুরে দেখেছি বা আমাদের চোখে চোখ মেলে দেখেছেন পাঠকেরা, তারা পাতা উল্টালে দেখবেন অধিকাংশ ক্ষেত্রই চালনা করছেন একটি নাট্যদল। নির্মাণের নিজস্বতা, নিরুপদ্রপে কাজ করবার প্রয়োজনেই মূলত সকলে নিজস্ব নাট্যক্ষেত্রের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং নাট্যাঙ্গন তৈরি করেছিলেন। একথা আমরা পড়েছি। জেনেছি। কিন্তু এবারে হোঁচট খেতে হল ১৯৮৮ সালে তৈরি থিয়েটার হাউসের গোড়ার কথা শুনতে বসে।
কর্মশালা – ভিত্তিক অনুশীলনের কাজ, ভিন্ন ভিন্ন ভারতীয় পুরাতন ঐতিহ্যবাহী শিল্প যা বিলুপ্ত হওয়ার পথে সেগুলি নিয়েই কাজ শুরু হয় এই স্পেসে। অর্থাৎ বোঝা যায় নিজেদের প্রকাশিত করবার আগে সন্তর্পনে, একাকী, নিবিড়ভাবে নিজেদের তৈরির প্রতি মনোযোগী থেকেছেন এই হাউস। পোলিশ থিয়েটারের ডিরেক্টার JERZY GROTOWSKI’র কাজের একটি সংমিশ্রণ যা অনুশীলনের মাধ্যমে থিয়েটার হাউসে চর্চা করা শুরু হয় প্রথম থেকেই। শূন্য দশকের শুরুতে এর নাম বাংলা থিয়েটারের সঙ্গে ওতোপ্রেতভাবে জড়িয়ে যায় এবং আমরা অন্তরঙ্গ নাট্যের কথা শুনলেই এঁনার নাম শুনেছি এবং বেশ কিছু কদর্য নাট্য নির্মাণ দেখেছি। ক্লান্ত হয়েছি। তাঁর লেখালিখিকে বুঝতে চেষ্টা করেছি এবং দেখেছি তাকে সামনে রেখে আসলে এক প্রকান্ড মিথ্যের মধ্যে দিয়ে ভিন্নক্ষেত্রের নাট্যচর্চাকে চালিয়ে দিতে চেয়েছেন কিছু তালেবর। কিন্তু আমাদের দৃষ্টি যদি গভীর হত তা যদি আরেকটু পরিভ্রমণ করতো নগর- দূরবর্তী বিভিন্ন এলাকার আনাচে কানাচে তাহলে আমরা দেখব গ্রোটস্কির চর্চা হয়েছে এখানে। হয়েছে আপাদমস্তক চর্চার জন্যই। শিক্ষার জন্যই। তাই আমরা প্রথাগতভাবে যখন জানতে চাই আপনাদের এই দীর্ঘকালের চর্চা থেকে উৎপন্ন প্রযোজনার সংখ্যা কতো? তখন অবনী বিশ্বাস আমাদের জানালেন, ‘থিয়েটার হাউস যেহেতু একটি স্পেস, এটি কোনো নাট্যদল নয় তাই প্রযোজনার বাধাধরা প্রয়োজনীয়তা নেই। ফলে এর সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কর্মশালা চলাকালীন একটি নাটক তৈরি হয় এবং শেষ দিন তা মঞ্চস্থ করা হয়। ব্যাস। কর্মশালা শেষের পর শান্তিনিকেতনের কোনো একটি মঞ্চে পুনরায় উপস্থাপন করা হয়। ভারতের বাইরেও কাজ হয় নিয়মিত। ইটালি,পোল্যান্ড,স্পেন,ইউ কে,সুইজারল্যান্ড ইত্যাদি জায়গায় নাটক অথবা কম্বাইন্ড শো মঞ্চস্থ করা হয়ে থাকে। থিয়েটার হাউসের এগুলিই নিয়মিত কাজ।’ জানালেন অভিজ্ঞ অবনী বিশ্বাস। তার আরো সংযোজন, ‘বহুদল বিভিন্ন সময় থিয়েটার হাউসের স্পেসটিকে কাজে লাগিয়েছেন। নাট্য তৈরি করেছেন। কিন্তু সেটাকে বিচ্ছিন্নভাবে না দেখে আমরা নিজেরাও নানান মাধ্যম নিয়ে, নানানভাবে যুক্ত থেকে সেসব দলকে সাহায্য করতে পেরেছি। এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বহু শিক্ষার্থী বর্তমানে ভারত ও ভারতের বাইরে এই ধারা নিয়ে নিজেদের অনুশীলন ও অনুসন্ধানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।’
কথা বলতে বেশ লাগছিল, অরন্যের মধ্যে দিয়ে বিকেল তখন নানান ফিকিরে প্রবেশ করছে আমাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত। শীত এখন হেমন্তের সঙ্গে পাঞ্জা কষছে এই অরণ্যে প্রবেশের জন্য। এতো বড়ো পরিকাঠামো, স্বাভাবিকভাবেই উঠল ভাড়ার প্রসঙ্গ। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে খানিক থামলেন অবনী, জানালেন, ‘ভাড়া শুরু থেকেই পঁয়তাল্লিশ দিনের কর্মশালার জন্য দিন পিছু, মাথা পিছু প্রশিক্ষণ মূল্য সমেত ১৬০০ টাকা ধার্য করা রয়েছে। সেভাবেই চলছে। ভারতের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যবস্থা। যেহেতু বিদেশের কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সময় ড্রামা ডিপার্টমেন্টগুলিতে গ্রোটস্কির সম্পর্কে পড়ানো হত তাই থিয়েটার হাউসকে সেক্ষেত্রে গ্রোটস্কি’র কাজের একটি ব্যবহারিক প্রশিক্ষণশালা অর্থাৎ PRACTICAL TRAINING CENTER হিসেবে ধরা হত তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এই কর্মশালায় যোগদান করলে পরীক্ষার পেপারে কুড়ি নম্বর গ্রেস দেওয়া হত।
তৎকালীন সময়ে ভারতীয়রা বিনা মূল্যে এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে পারতেন তবে বর্তমানে ভারতীয়দের জন্যেও একই মূল্য ধার্য করা হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যদি কোনো অংশগ্রহণকারীর প্রয়োজন হয় সেইক্ষেত্রে তাকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হয় এবং যেকোনো অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর প্রতি আমরা এই বিষয়ে সাধ্যমতো সাহায্য করে থাকে। জানিয়ে রাখা প্রয়োজন এইখানে শিক্ষক এবং স্পেস চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং কর্মীদের কথা মাথায় রেখে এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’ চায়ের কাপ আমার হাতেই থেকে যায়। কতোটা আন্তর্জাতিকভাবে বহুপূর্বেই তারা ভেবেছিলেন, ভেবে সামান্য ঈর্ষা তো হলই। ফেসবুক, হোয়াটসআপের যুগে আমাদের ইজি কমিউনিকেশান আমাদের যখন ক্রমাগত অলস করে তুলেছে তখন থিয়েটার হাউসের এই চারদশক পূর্বেকার কীর্তি শিক্ষনীয় শুধু নয়, নিঃসন্দেহে অনুসরণযোগ্যও। যেখানে বাজার চাহিদা অনুযায়ী প্রোডাক্ট নয় বরং প্রসেসে আস্থা রেখেছেন এরা।
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি ১৯৮৪ সালে অবনী বিশ্বাস ‘থিয়েটার অফ সোর্সেস’ নামক প্রোজেক্টের কাজ শেষ করে ভারতে আসেন ‘সোর্সেস রিসার্চ ইন্ডিয়ান পারফরমিং আর্ট’ প্রোজেক্টের ভাবনা নিয়ে। এই ভাবনার সূত্র ধরেই থিয়েটার হাউস তৈরির কাজ শুরু হয় এবং যা শেষ হয় ১৯৯০ সালে। এই স্পেস উদ্বোধনের জন্য স্বয়ং গ্রোটস্কি আসতে চেয়েছিলেন কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে সে সময় আসতে না পারায় একটি চিঠিতে এই কাজ শুরুর জন্য অবনী বিশ্বাসকে শুভেচ্ছা এবং আশীর্বাদ জানান এই কিংবদন্তী দিশানির্দেশকারী নাট্যশিল্পী।
এবারে সন্ধে নেমে এসেছে। থিয়েটার হাউসে। জমে উঠছে অন্ধকার। স্তরে স্তরে যেন অন্ধকারের চাদর ভাজ করে রেখেছে কেউ। সেসব ভেদ করেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম, ‘এত আগেই এই ভাবনা কিভাবে মাথায় এসেছিল? এই ক্ষেত্র স্থাপনের উদ্দেশ্য তাহলে কি ছিল?’ অবনীবাবু কথা বলতে শুরু করলেন, অন্ধকার সরে সরে যাচ্ছিল কথার দোলায়, কথার গভীরতায়। ১৯৮০ সালে কলকাতার একটি নাট্যমঞ্চে অবনী বিশ্বাসের সঙ্গে পোলিশ মডার্ণ থিয়েটার ডিরেক্টার গ্রোটস্কির দেখা হয়েছিল। গ্রোটস্কির ভারতবর্ষে থাকাকালীন সময়কালে তাঁর ঘনিষ্ট সঙ্গী ছিলেন অবনী বিশ্বাস। এরপর দ্বিতীয়বার যখন গ্রোটস্কি ভারতে আসেন তখন অবনী বিশ্বাস সহ আরও কয়েকজনকে পোল্যান্ডে গিয়ে ‘থিয়েটার অফ সোর্সেস’ নামক প্রোজেক্টের কাজে অংশগ্রহণ করবার আমন্ত্রণ জানান তিনি। বাকিরা অল্পকাল পর ফিরে এলেও অবনী এই কাজের সঙ্গে থেকে যান এবং পরবর্তীকালে ‘থিয়েটার অফ সোর্সেস’র একজন সক্রিয় সহযোগী হয়ে ওঠেন। গ্রোটস্কির পরবর্তী প্রোজেক্ট ‘ART AS A VEHICLE’ শুরু হয় এবং সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর অবনী বিশ্বাস ভারতে ফিরে আসেন আবার এবং তখন ‘শিকড়’ নাট্যকেন্দ্র পরিচালনা করতেন বরেন শিকদার। লিভিং থিয়েটারে কাজ করার পরে তাঁরা গঙ্গার ধারে ‘শিকড়’ নাট্যকেন্দ্র গঠন করেন। ১৯৮৪-৮৫ তে অবনী বিশ্বাস প্রথম এই জায়গাটি ব্যবহার করেন নিজের ভাবনার পরিচর্চার কেন্দ্র হিসেবে এবং তা প্রকাশের জন্য। তখন ‘শিকড়’ নাট্যকেন্দ্রে যারা কাজ করছিলেন তাঁরা সকলেই অবনী বিশ্বাসের সঙ্গে এই কর্মযজ্ঞে সামিল হন। যেহেতু সেইসময় বাংলার নাট্যদলগুলি একটি বড় অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল তার প্রভাব এসে পড়ে ‘শিকড়’ নাট্যকেন্দ্রেও। এসময় অবনী বিশ্বাস গ্রোটস্কির কর্মপদ্ধতি অনুসারে নিজের দৈনন্দিন অনুশীলনের কাজ শুরু করেন পুনরায় ‘শিকড়’ নাট্যকেন্দ্রের সকল কর্মীকে নিয়ে।
একটা জায়গা যেখানে প্রাকৃতিক আবহওয়ার মধ্যে কয়েকটি মানসিক এবং দৈহিক অনুশীলনের দ্বারা এবং আঞ্চলিক ঐতিহ্যবাহী বৈশিষ্ট্যের সংমিশ্রণে ও সহায়তায় এক অভিনেতাকে প্রস্তুত করার যে বিজ্ঞান তিনি এই কিংবদন্তি পরিচালকের থেকে আহরণ করেছিলেন তাঁর প্রয়োগেই তৈরি হয় চরিত্রায়ন। এই ভাবনার মূল ছিল যে একজন অভিনেতার নিজের নিজেকে বিচার করা ও বোঝা। এই ছিল একজন অভিনেতাকে প্রস্তুত করার প্রক্রিয়ার প্রধান প্রাধান্য। যেহেতু সেসময় অভিনেতা প্রস্তুত করবার কোনো বৈজ্ঞানিক চর্চা কোথাও সেভাবে প্রবাহমান ছিল না তাই সে ভাবনা নিয়ে অবনী বিশ্বাস তখন যে অনুসন্ধান এবং অন্বেষণ শুরু করেন তা বর্তমানে অভিনেতা প্রস্তুত করবার ক্ষেত্রে এক অনুসরণযোগ্য এবং দিশানির্দেশকারী পথ হয়ে উঠেছে।
অন্ধকার রাতের সঙ্গে সঙ্গে জমাট বাঁধলেও, অবনী বিশ্বাসের আন্তরিক উচ্চারণে, স্মৃতিচারণের স্পষ্ট কলতানে অকাল দীপাবলি যেন ছেয়ে গেছিল গোটা ক্ষেত্রজুড়ে। তিনি আসলে এক অনন্য দিক-নির্দেশক বাংলা নাট্যে এ কথা অনস্বীকার্য। কিন্তু বলা বাহুল্য এ রাজ্যের নাট্যে বা নাট্যসংগঠনের ইতিহাস ফিরে দেখলে দেখা যায়, দল না থাকলে বা দলীয় স্থপতি হিসেবে খানিক তালেবর হয়ে না উঠলে এ থিয়েটারে তেমন দাম পাওয়া যায় না। ফলে ১৯৯০ সালে যে থিয়েটার হাউস শান্তিনিকেতনের কাছাকাছি বল্লভপুরের খেলেডাঙায় তিনদিক জঙ্গলে ঘেরা একটি স্পেস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। শুধুমাত্র চর্চা বা অভ্যেস করবার জায়গা রূপে, তা অন্যান্য স্পেসের মতো তত জনপ্রিয় না হলেও, এই প্রতিবেদক নিশ্চিত মনে করেন মহাকাল মনে রাখবে এই চতুর্ভূজ আকারের হল রুম, একটি চতুর্ভূজ ওপেন এয়ার স্টেজ, একটি গোলাকার (ওপেন এয়ার) ইনটিমেট স্পেস আছে এবং একটি বিস্তৃত মাঠ সহ এই আধুনিক ক্ষেত্র। অন্তরঙ্গ স্পেসটিতে দর্শক হিসেবে ৫০-৬০ জন একসঙ্গে বসতে পারেন। রাতেও থাকার ব্যবস্থা আছে এখানে,একটি কমিউনিটি কিচেনও আছে। এখানে পারফর্মার এর তৈরি ও প্রস্তুতির জায়গা থাকলেও গ্রীণরুম বলে নির্দিষ্ট কিছু নেই অবশ্য।
জানতে চাইছিলাম, যেহেতু আপনারা নাট্যদল নয়, সেক্ষেত্রে অন্যান্য দল উৎসব বা নাট্যসন্ধ্যা আয়োজন করলে দর্শক জানেন কীভাবে? নাকি নিজস্ব কোনো উদ্যোগ নিজের দলের অভিনয় বা উৎসব ছাড়া থাকে না?
উত্তরে বলেন- ঠিকই, থিয়েটার হাউস স্পেসটি মূলত অভিনেতা তৈরির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে বাৎসরিক কর্মশালাটিই প্রাধান্য পায়।
শুরুর সময় এই কর্মশালায় ভারতের বাইরের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা যোগদান করতেন। ধীরে ধীরে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন। পঁয়তাল্লিশ দিনের এই কর্মশালায় নয়টি দৈহিক এবং মানসিক অনুশীলন প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে অভ্যাস করা হয়। এই নয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে গ্রোটস্কির কর্মপদ্ধতির ধারার চর্চাগুলি ছাড়াও পুরুলিয়ার ছৌ-নাচ, কালাড়িপায়েট্টু, উড়িষ্যার গুটিপোয়া নাচ, হিন্দুস্থানি ক্লাসিক্যাল, বাংলা গান ও বাউল গানের অনুশীলন চলতে থাকা লাগাতার। এছাড়া গ্রোটস্কির বিশেষ অনুশীলন পদ্ধতির ‘MOTION’ এবং যোগ-ব্যায়ামের অভ্যাসও নিয়মিত চর্চার অধীনে থাকে। তাই দর্শক তৈরির ক্ষেত্রেও আমরা নিজেদের পরিধির মধ্যেই যোগাযোগ করে থাকি। ইদানীং সোসাল-নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমেও প্রচার করা হয়ে থাকে। যেহেতু এটি একটি কর্মশালা ভিত্তিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র তাই SPECTATOR কে PARTICIPANT করে তোলার উদ্দেশ্যকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। এখানে আলো টাঙানোর ব্যবস্থা আছে, সাউন্ডও ব্যবহার করা হয়। আমরা আলো, আবহের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদানের উপর ভরসা রেখেই কাজ এগিয়েছি এবং এগোতেও চাই আগামীতেও। ফলে দর্শকের আন্তরিক সহযোগ এবং সংযুক্তি এই কাজের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রামকৃষ্ণের কথা মনে পড়ল হঠাৎ, ‘যত মত তত পথ’… অবনী বিশ্বাসের পথ একেবারেই ভিন্ন, নিজস্ব উড়ানে আদ্যন্ত ব্যতিক্রম। এই বাজার সংস্কৃতির যুগে প্রযোজনার প্রতি ধ্যান না দিয়ে শুধুমাত্র চর্চা চালিয়ে যাওয়া, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নিরন্তর অনুশীলন সত্যিই আজকের দিকে স্পষ্ট ব্যতিক্রম এবং বিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া হিসেবেই থেকে যাবে এ বিশ্বাস নিয়েই ফিরেছিলাম সেদিনের থিয়েটার হাউস থেকে।
দারুন লাগলো লেখাটি। সমৃদ্ধ হলাম। থিয়েটার হাউস এর মত একটি ব্যতিক্রমী ও তুলনামূলক ভাবে স্বল্প আলোচিত নাট্য প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এই আলোচনা অত্যন্ত জরুরী একটি কাজ।
ধন্যবাদ ভাই। শেয়ার করে সবাইকে জানবার সুযোগ করে দিও আর অন্যান্য লেখাগুলো পোড়ো।
👍🏻
দারুন
👍