টু সোলস | সাগ্নিক কোলে

Soul- আত্মা। যদি তার আঁতুড়ঘর মানুষের মনকেই ধরে নেওয়া যায় , তাহলে নিঃসন্দেহে তার প্রিয় বন্ধু হলো, ঠিক ধরেছেন, ভালোবাসা।
যথারীতি তারপরেই নানা প্রশ্ন। কাকে। কবে। কেন। কতদিন। অথবা, আর কতদিন ?
অথচ এই প্রশ্নগুলোই যদি অন্যদিক থেকেও ভেসে আসে, তখন হয়তো গানওয়ালা গেয়ে ওঠেন – প্রশ্ন গুলো সহজ। উত্তর ও জানা। তাহলে ভালোবাসায় ভয় কেন ? আমরা পিছিয়ে আসি কেন ? আমরা হেরে যাই কেন ? লোভ। হ্যাঁ ,কারণ লোভ আমাদের অজান্তে ভালোবাসার টুঁটি চেপে ধরে রোজ। একটু একটু করে slow poisoning এর মত ভালোবাসা আমাদের কে বিদায় জানায়। বার বার। এবার তর্ক আসবে – কিসের লোভ ? কিসের আবার। ভালো থাকার। আরো ভালো থাকার। আর তারপর আরো ভালো থাকা। খেয়াল রাখতে হবে ভালো রাখা কিন্তু এই সমস্ত লোভী অভিধানে নেই।
কোনো একদিন ছিলো হয়তো। একটা ঘর ছিল। একটু অগোছালো। একটু অভিমান। একটু ঝগড়া। অনেকটা আগলে থাকা। আগলে রাখা। সেই ঘরের একজোড়া জানালা দিয়ে কুয়াশা, রোদ, বৃষ্টি ,পাখির আওয়াজ সব ঢুকতো ওদের জীবনে আদরের পিয়ন হয়ে। ঝেড়ে ফেলত তারা গতরাতের ভুল বোঝাবুঝি। মান অভিমান। দূরত্ব কয়েক লহমায় হেরে যেত ওদের দিনের শেষে , ঘর্মাক্ত , বন্য আলিঙ্গনে। কিন্তু , ভগবানেরও ভুল হয়। আর ওরা দুজন তো মানুষ। তাই নিজেদের অজান্তেই একে অপরের জন্য ভালোবাসা নিয়ে এসেছিল। ডাকনাম দিয়েছিলো বড়দিনের উপহার।
তবে, তাদের কপালে উপহার উদযাপনের সুখ সইলো না।
মেয়েটির চুল …
ছেলেটির ঘড়ি …
কিছুই যে নেই আর।
আছে তবে কী ?
ওরা দুজন ! জিম আর ডেলা।
ওরা থেকে গেছে। থেকে যাবে। দুটো আত্মা হয়ে। মনের আঁতুড়ঘর থেকে রোজ সেই আত্মার হাসি আর ভালোবাসা র কবিতা শোনা যায়।
রোজ জিতে যায় ওরা। রোজ।

অশোকনগর নাট্যমুখ এর প্রযোজনা – টু সোলস। নির্দেশনা – অভি চক্রবর্তী।
মঞ্চে দুজন অভিনেতা। যাদের কে বারুদ বললে কম বলা হয়। নাম গুলো নাহয় নাটকটা দেখতে গিয়ে জেনে নেবেন। কারণ নামগুলো থেকে যাবে। জিম আর ডেলার মতো।